উত্তরপ্রদেশের লখনউ শহরে বিষাক্ত কোনো পদার্থ খেয়ে এক যুবক পুলিশ চৌকিতে পৌঁছে তোলপাড় শুরু করে। কিছুক্ষণ পর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে ওই যুবকের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো এবং তার চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি মোহন রোড পুলিশ চৌকির। কিন্তু
কেন এমনটা করলেন? জানা যাচ্ছে মল এলাকার বাসিন্দা জিতেন্দ্রের সঙ্গে তার স্ত্রীর ঝগড়া হয়, তারপর সে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। স্ত্রীর বাড়ি কনক সিটি। স্ত্রীকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছয় জিতেন্দ্র। কিন্তু স্ত্রী তার সঙ্গে ফিরে যেতে রাজি হননি। এমনকি তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
কোনো উপায় না পেয়ে জিতেন্দ্র পুলিশ পোস্টে পৌঁছে পুলিশের কাছে সাহায্যের আবেদন করেন। পুলিশ ডাকলে স্ত্রী ও তার স্বজনরাও সেখানে আসেন। পুলিশ দুজনের মধ্যে সমঝোতার আপ্রাণ চেষ্টা করে। কিন্তু স্ত্রী রাজি হয় না। সে আবারও জিতেন্দ্রের সঙ্গে যেতে অস্বীকার করেন। এরপর পুলিশ জিতেন্দ্রকে বাড়ি ফিরে যেতে বলে।
কিন্তু কিছুক্ষণ পর জিতেন্দ্র আবার পুলিশ চৌকিতে এসে বাইরে তোলপাড় শুরু করেন। জিতেন্দ্র চিৎকার করে বললেন, “পুলিশ আমার স্ত্রীকে আমার সঙ্গে পাঠাচ্ছে না। পুলিশ আমার কাছে টাকা চেয়েছে। আমি টাকা না দেওয়ায় পুলিশ আমার অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেনি।” এই সময়ে জিতেন্দ্র বহুবার বলছিলেন যে তিনি বিষ খেয়েছেন। কিন্তু পুলিশ বিষয়টি পাত্তা দেয়নি।
কিছুক্ষণ পর জিতেন্দ্রের মুখ থেকে ফেনা বেরোতে শুরু করলে পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। দেখা গেল যে জিতেন্দ্র সালফাস জাতীয় বিষাক্ত পদার্থ খেয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে লখনউয়ের ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বর্তমানে জিতেন্দ্রের অবস্থা ভালো আছে এবং তার চিকিৎসা চলছে।
মোহন ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, বিষয়টি পারস্পরিক বিরোধের। জিতেন্দ্র তার স্ত্রীকে মারধর করে এবং তাকে সন্দেহও করে। এতে বিরক্ত হয়ে স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন। জিতেন্দ্র তাকে ফিরিয়ে আনতে শ্বশুর বাড়িতে গেলেও স্ত্রী তাকে সঙ্গ দিতে অস্বীকার করে। তিনি জানিয়েছেন, জিতেন্দ্র ইতিমধ্যেই একাধিকবার তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেছেন। এখন স্ত্রী তার সাথে যেতে মোটেও প্রস্তুত নয়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।