নৃশংস বললেও কম বলা হয়। উত্তর প্রদেশের বিজনোরে, পুলিশ এমন এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে যে তার নিজের ছোট ভাইকে প্রাণে মেরে ফেলেছিল। শুধু তাই নয় ভাইয়ের মৃতদেহ পোড়ানোর চেষ্টা পর্যন্ত করেছিল। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অভিযুক্ত বলেছে যে তার ভাই প্রতিবন্ধী ছিল এবং সে তার আচার আচরণে খুব বিরক্ত ছিল। ঘটনাটি সায়োহারার মোবারকপুরের। এই অঞ্চলের ঘড়ির পুকুর থেকে একটি অর্ধ-দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশি তদন্তে জানা যায়, মৃতদেহটি ২২ বছর বয়সী পঙ্কজের। পঙ্কজের বাবা হরপাল সিং মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও খুনের বিষয়টি উঠে এসেছে। বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ পঙ্কজের মোবাইলের কল ডিটেইলস থেকে লোকেশন ট্রেস করলে দেখা যায়, খুনের আগে মৃতের বড় ভাই অশোক তার সঙ্গেই ছিল।
পুলিশ অশোককে আটক করে কঠোরভাবে জেরা করলে সে তার অপরাধ স্বীকার করে নেয়। অশোক জানান যে তার ভাই প্রতিবন্ধী ছিল। বাড়ির সবাইকে নানা সমস্যায় ফেলতো প্রায়শঃই। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু সে ক্ষিপ্ত হয়ে মারামারি করতো। অনেক সময় কাপড় জামা ছাড়াই বাড়ির আশেপাশে ঘুরতেন। কোনো বিষয়ে বাড়ির প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ২২ মে পঙ্কজ পুকুর পাড়ে গিয়ে বসেছিল। বড় ভাই অশোক তাকে ফিরিয়ে আনতে তার কাছে গেলে সে তার সাথে মারামারি করা শুরু করে।
পুলিশ হেফাজতে আসামি।
এতে অশোক ক্ষিপ্ত হয়ে পঙ্কজকে ব্লেড দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করে। কেউ যেন চিনতে না পারে সেজন্য লাশ পুড়িয়ে ফেলারও চেষ্টা করে। এরপর অর্ধদগ্ধ লাশ পুকুরে ফেলে দিয়ে আসে। এদিকে ছোট ছেলে বাড়িতে না ফেললে তার খোঁজখবর করা শুরু হয়। অর্ধদগ্ধ লাশটি দেখতে পাওয়া যায় পুকুরে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে আর কেউ নয় তার ভাই তাকে হত্যা করেছে। এসপি ধরমবীর সিং বলেছেন যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে জেলে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।