Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

একই পরিবারে তিন বোনের বিয়ে, দুইজন গর্ভবতী! পনের লালসার মূল্য চুকালো সকলে

হৃদয় বিদারক এক ঘটনা সামনে এসেছে রাজস্থান থেকে। জয়পুরের দুদু এলাকায় একটি কুয়ো থেকে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবেই দেখছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, নিহতদের মধ্যে তিন বোন রয়েছে, যাদের খুব অল্প বয়সে একই পরিবারে বিয়ে হয়েছিল এবং তাদের দুটি সন্তান ছিল। এর মধ্যে বর্তমানে দুই নারী গর্ভবতীও হয়েছেন। ২৫শে মে তিন বোন তাদের সন্তানদের নিয়ে বাজারে যাওয়ার অজুহাতে বাড়ী থেকে বার হয়ে যায়। এদিকে দীর্ঘক্ষণ পরেও বাড়ি না ফেরায় তাদের পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে নিখোঁজ পোস্টার সাঁটিয়ে খোঁজ শুরু করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মিলল পাঁচ জনের নিথর দেহ।

তিন বোনের খুড়তুতো এক ভাই হেমরাজ মীনা অভিযোগ আনেন যে তার এক বোনকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বেধড়ক মারধর করেছে। তার বোনদের খুন করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করতে সময় নিয়েছে। এখন পুলিশ শ্বশুরবাড়ির কয়েকজন সদস্যকে আটক করেছে। মৃতদের নাম কালী দেবী (২৭), মমতা মীনা (২৪) এবং কমলেশ মীনা (২০)৷ এছাড়া হর্ষিত (৪) নামক একটি বাচ্চা ও ২০ দিনের এক শিশুও নিহতদের মধ্যে রয়েছে। মমতা ও কমলেশ গর্ভবতী ছিলেন।

জয়পুর গ্রামীণ এসপি মনীশ আগরওয়াল বলেছেন যে তিনজন মহিলার মধ্যে একজন হোয়াটসঅ্যাপে একটি স্ট্যাটাসও পোস্ট করেছিলেন যে তারা তাদের শ্বশুরবাড়ির উপর বিরক্ত, তাই মরে যাওয়াই ভাল। একই সঙ্গে যৌতুকের জন্য মেয়েদের উপর প্রতিনিয়ত হয়রানির অভিযোগে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহত মেয়েগুলির বাবা।

অভিযোগ তিন নারীর স্বামীই মদ্যপ ছিলেন। তিন বোন লেখাপড়া করে জীবিকা নির্বাহ করতে চাইলে তিনজনের অশিক্ষিত স্বামীরা মদের নেশায় তাদের মারধর করত। তারা স্ত্রীদের সন্দেহ করতেন। পৈতৃক জমিজমা বিক্রি করে জীবন কাটাতেন, কোনো কাজ করতেন না।

তথ্য অনুযায়ী, জয়পুরের মহারানি কলেজে পড়ার পর কমলেশ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন, যখন তার অভিযুক্ত স্বামী পঞ্চম-ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন। একই সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল পদে পরীক্ষায় নির্বাচিত হন মমতা। বড় বোন কালী দেবী বিএ ফাইনাল ইয়ারে পড়ছিল।

পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ অ্যাক্টিভিস্ট কবিতা শ্রীবাস্তব বলেন, দুই নারী গর্ভবতী এবং তাদের অনাগত সন্তানসহ মারা যাওয়ায় বলাই যায় মোট সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন। এটা খুবই জঘন্য অপরাধ এবং কোন যন্ত্রণা থেকে ওই যুবতীরা এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন তা বোঝার বাইরে। তিনি বলেন, স্থানীয় পুলিশের পরিবর্তে একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার দ্বারা সুষ্ঠু ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত।

Related posts

ভারতের পুলিশের উর্দির রঙ খাকি কেন? আর কলকাতা পুলিশের ইউনিফর্ম কেন সাদা! জানেন?

News Desk

প্রকাশিত উচ্চমাধ্যমিকের ফল! ৪৯৯ পেয়ে প্রথম হয়েছেন ১ জন, প্রথম দশের তালিকায় ৮৬ জন

News Desk

বাড়িতে কিলবিল করছে নানা প্রজাতির বিষধর সাপ, ঘরের মেঝেয় পড়ে গৃহকর্তার প্রাণহীন দেহ

News Desk