উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মহারাজগঞ্জে গণশুনানির সময় এক ব্যক্তি পুলিশের কাছে গিয়ে বলে, ‘আমার স্ত্রী আমাকে প্রতিদিন লাঠি দিয়ে মারেন, আমাকে বাঁচান, আমি মরে যাব’। এ কথা শুনে পুলিশ সদস্যরাও হতবাক হয়ে না হেসে থাকতে পারলেন না।
উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলা থেকে একটি চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে। এক ব্যাক্তির বিবাহিত জীবনের কথা শুনে পুলিশও যেন হতবাক। গণশুনানির সময় একজন ব্যক্তি তার অভিযোগ নিয়ে থানায় পৌঁছে নিজের আবেদনে জানান যে সাহেব, আমার স্ত্রী প্রতিদিন আমাকে গালাগালি দেয় এবং লাঠি দিয়ে মারধর করে। সে আমাকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে। ঈশ্বরের নামে আমাকে বাঁচান। এ কথা শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা সবাই অবাক।
নির্যাতিত ব্যাক্তি পুলিশকে তার অভিযোগে জানিয়েছেন, স্ত্রী তার কথা শোনেন না এবং প্রতিদিনই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া করেন। গত কয়েকদিন ধরে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেছে। ওই ব্যাক্তি বলেন “আমি কোনো কিছুর বিরোধিতা করলে সে আমাকে মারধর করে। আমি তার আচরণে খুব বিরক্ত। এই সমস্যা মোকাবেলা করতে আমাকে সাহায্য করুন।”
এ বিষয়ে নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ওই মহিলাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এক দালাল তার স্বামীকে প্রলুব্ধ করে গ্রামের জমি বিক্রির ষড়যন্ত্র করছে। মহিলা বলেন “আমি এটা বন্ধ করার চেষ্টা করলে সে আমার উপর রেগে যায়। এখন দালাল আর আমার স্বামী মিলে আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। সংসার ভাঙার পেছনে দালালের হাত রয়েছে।”
যদিও ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে সিন্দুরিয়ার এসএইচও রামকৃষ্ণ যাদব ভিকটিমকে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এসএইচও জানিয়েছেন, পারিবারিক কাউন্সেলিং সেন্টারের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর কাউন্সেলিং করা হবে।