বাড়ি বাড়ি থেকে নাকের ও গলা থেকে করোনা পরীক্ষার সোয়াব কালেকশন করত সে। বলেছিলেন নামকরা বেসরকারি ল্যাবের থেকে করিয়ে এনে দেওয়ার কথা। সেই মতন করোনা টেস্টের রিপোর্ট সেই ল্যাব থেকে করিয়ে এনে দিত শিলিগুড়ির বাসিন্দা বিশাল দত্ত। কিন্তু বাস্তবে কোনো ল্যাব নয় সাইবার ক্যাফেতে বসেই বানিয়ে নিত জাল করোনা টেস্টের রিপোর্ট। এই ভাবেই চলছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না, পুলিসের জালে ধরা পড়লো সেই যুবক। জানা যাচ্ছে তার দেওয়া সমস্ত করোনা রিপোর্টই জাল।
কিন্তু কীভাবে তার এই কুকীর্তির কথা সামনে এলো। জানা গেছে শিলিগুড়ির পাঞ্জাবিপাড়ার এক বাসিন্দা অমর জৈন কিছুদিন আগে বিশাল দত্তের মাধ্যমে বাড়িতে বসে করোনা টেস্ট করণ। সেই মতন বিশাল তাদের বাড়িতে এসে করোনা টেস্টের জন্য সোয়াব নিয়ে যায়। সেই টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ পাঠায় সে। বিশালের দেওয়া করোনা রিপোর্টের উপর নির্ভর করেই অমরবাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অমর বাবুর শারিরীক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এই রিপোর্ট এর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ জাগে অমর হয়নি।
সাথে সাথেই ওই রিপোর্টটি নিয়ে অমর জৈনের পরিবার যোগাযোগ করেন সংশ্লি্ট ল্যাবটির সঙ্গে। ল্যাব তরফে জানানো হয়, অমর জৈন নামে কারও করোনা টেস্ট ওই ল্যাব থেকে করা হয়নি। এমনকি বিশাল তাদের সাথে যুক্ত নয়। ওই ল্যাবে বিশাল আগে কাজ করতো। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ল্যাব থেকে বিশাল কে বার করে দেওয়া হয় কেননা সে ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করত। এতেই সত্যতার খোঁজ পায় অমর জৈনের পরিবার।
এরপর আরও এক পরিবারের সদস্যের সোয়াব সংগ্রহের নাম করে আবারও বিশাল দাস কে বাড়িতে ডেকে পাঠায় অমর জৈনের পরিবার। বিশাল পৌঁছালে তাকে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে সবটা। পুলিশে খবর দিলে তাকে আটক করে শিলিগুড়ি থানার পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিস।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বিশালের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। আরো কিছু নমুনার ও সন্ধান মিলেছে তার ব্যাগে। এভাবে কতজনের ভুয়ো করোনা রিপোর্ট সে করেছে তা নিয়েই তদন্ত শুরু হয়েছে।