দীঘায় ঘুরতে এসেছিলেন এক যুবক এবং তার স্ত্রী। আর দিঘার হোটেলে আত্মঘাতী হলেন যুবক। স্ত্রীকে বাথরুমের মধ্যে বন্ধ রেখেই নিজে হোটেলের ঘরেই আত্মহত্যা করলেন ওই যুবক। পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মৃত্যু স্ত্রী বুধবার দিন পুলিশের কাছে এই দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু দীঘা আসার মাত্র দু’দিনের মাথায় ওই যুবক কেন আত্মহত্যা করলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে যে , বছর তেইশের রাজেশ বর উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা। সোমবার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নিউ দিঘায় বেড়াতে এসেছিলেন। স্ত্রী ছাড়াও বাকি আত্মীয়-স্বজনরা ছিলেন। তাঁদের দাবি, তিনি যখন বুধবার দিন দুপুর ২টো নাগাদ বাথরুমে ঢোকেন তখন তাঁকে সেখানে আটকে রাখেন রাজেশ। তারপর হোটেলেই সিলিং ফ্যানে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন তিনি। যদিও কিছুক্ষনের মধ্যেই সেই ফাস্ট ছেড়ে তিনি পড়ে যান । তার মধ্যেই রাজেশের স্ত্রীর চিৎকারের আওয়াজ শুনে বাকি আত্মীয়-স্বজনরা সেই ঘরে ঢুকে পড়ে । রাজেশকে সেসময় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে তারা । তাড়াহুড়ো করে তারা দীঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতলে নিয়ে যায় রাজেশকে । খবর পাওয়ার সাথে সাথেই দীঘা থানার পুলিশ সেই জায়গায় উপস্থিত হয় ।চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানায়। এরপর রাজেশের মৃত দেহটির ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে সেটি পাঠায় তারা। সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে ।
রাজেশের স্ত্রী জানিয়েছে বুধবার দিন দুপুর দুটো নাগাদ স্নান করতে বাথরুমে ঢুকে ছিল এবং বাথরুমের দরজা সে সময় বাইরে থেকে ‘লক’ করে দিয়ে সিলিং ফ্যানে কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েন রাজেশ। তবে বিছানাতেই সে কাপড়টি ছিঁড়ে পড়ে যান। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাথরুমের দরজা বন্ধ দেখে তার স্ত্রী বাকি আত্মীয়-স্বজনদের ডাকতে থাকে। স্ত্রী এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কি কি কারণে ওই যুবক আত্মহত্যা করল সে ব্যাপারে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে স্ত্রী এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের জেরা করছে দীঘা থানার পুলিশ।