এমন কর্মচারীর কথা কে কোথায় শুনেছে? যে তার ২৭ বছরের চাকরিতে একটি দিনও ছুটি না নিয়ে নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন। কিন্তু এরপর কোম্পানির পক্ষ থেকে পুরস্কার হিসাবে তাকে শুধুমাত্র একটি উপহারের ব্যাগ দেওয়া হয়েছিল, যাতে উপহার হিসাবে ছিল একটি সিনেমার টিকিট, ক্যান্ডি ব্যাগ, কফি মগ এবং পেন। কিন্তু তার আনুগত্য ও পরিশ্রমের সঠিক প্রতিদান না পাওয়ার খবর ইন্টারনেটে ভাইরাল হতেই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা তার জন্য এগিয়ে আসেন এবং এখন পর্যন্ত ওই কর্মচারী দেড় কোটি টাকা অনুদান পেয়েছেন।
আসলে, এই কর্মী কোনও সাধারণ সংস্থার কর্মী নয়, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ফাস্ট ফুড চেইন বার্গার কিং-এর কর্মী ছিলেন। কর্মচারীর নাম কেভিন ফোর্ড, যে তার ২৭ বছরের চাকরিতে কোনো ছুটি না নিয়েই সততার সাথে তার দায়িত্ব পালন করেছিল। কিন্তু যখন সে তার কঠোর পরিশ্রমের জন্য পুরস্কৃত হন, তখন তাকে কেবল মাত্র কিছু টফি এবং চকলেট দেয় দেয়, যার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্গার কিং ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।
১.৫০ কোটি টাকা উঠে ক্রাউডফান্ডিং থেকে
৬০ বছর বয়সী কেভিন ফোর্ডকে কোম্পানি পুরষ্কার দেওয়ার পরে, সকলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বার্গার কিংকে তিরস্কার করে বলে যে তার আরও ভাল কিছু প্রাপ্য। তাই এর পরে, যখন ফোর্ডের কন্যা তার জন্য একটি ক্রাউডফান্ডিং লিঙ্ক তৈরি করেন, তখন তিনি বিপুল পরিমাণ সমর্থন পান। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাকে সবচেয়ে বড় পুরস্কার দিয়েছেন। কেভিনের মেয়ের দ্বারা শুরু করা তহবিল এখন পর্যন্ত ১.৫ কোটি টাকার বেশি সংগ্রহ করেছে। এমনকি জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা ডেভিড স্পেড তাকে ৫০০০ ডলার (৪ লাখ টাকা) দিয়ে সাহায্য করেছেন।
কেভিন ফোর্ডের মেয়ে সেরিনা গত ২০শে জুন গো ফান্ড মি ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্মে লিঙ্কটি তৈরি করেছেন। কেভিনের জন্য, মাত্র ১০ দিনে, ৭৩০০ জনেরও বেশি লোক ১ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা তহবিল সংগ্রহ করেছে। মেয়ে সেরিনা বলেছেন যে তার বাবা গত ২৭ বছরে বার্গার কিং-এ কাজ করার সময় একদিনও ছুটি নেননি। মেয়ে বলেন, কেভিন ২৭ বছর আগে তাকে এবং তার বড় বোনের দায়িত্ত্ব নেওয়ার সময় সিঙ্গেল ফাদার হিসাবে এই চাকরিতে কাজ শুরু করেছিলেন।