চলছিল স্বামীর পরকীয়া। দিনের পর দিন এভাবে দেখে সহ্য করতে পারছিলেন না স্ত্রী। ফল স্বরূপ হতো তর্কাতর্কি, বিবাদ। এইভাবেই বিহারের পূর্ণিয়ায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের বিরোধিতা করতে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্ত্রী। আর স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ বাড়ির উঠানে টয়লেটের ট্যাঙ্কে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। কালীগঞ্জে গত ১২ আগস্ট থেকে নিখোঁজ রিঙ্কি দেবীর লাশ তার বাড়ির উঠানে টয়লেটের ট্যাঙ্ক থেকে পচা অবস্থায় উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। মহিলার স্বামী শ্যামলাল চৌরাসিয়ার বিরুদ্ধে তাকে পিটিয়ে হত্যা এবং শৌচাগারের ট্যাঙ্কে লাশ লুকানোর অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় শ্যামলাল চৌরাসিয়ার তিন ছেলেকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত শ্যামলাল চৌরাসিয়া পলাতক।
বলা হচ্ছে, শ্যামলাল চৌরাসিয়ার অন্য এক মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন রিঙ্কি দেবীকে। রিঙ্কি তার স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের বিরোধিতা করতেন যা তাকে রাগিয়ে দিয়েছিল। এ কারণে রিঙ্কি দেবীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শ্যামলাল। এর পর অভিযুক্ত তার প্রথম স্ত্রীর ছেলেদের নিয়ে তাকে বাড়ির টয়লেটের ট্যাঙ্কে পুঁতে দেয় এবং তার উপরে লেবু, পেঁয়াজ চারা লাগানো হয় ও সার দেওয়া হয় যাতে মৃতদেহ দ্রুত পচে যায়।
পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করলে শ্যামলাল চৌরাসিয়ার ছেলে তার বাবার অপরাধের কথা জানায়। তিনি জানান, বাবা শ্যামলাল চোরাশিয়া তার দ্বিতীয় স্ত্রী রিঙ্কি দেবীকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ টয়লেটে লুকিয়ে রেখেছেন। এরপর পুলিশ তার বাড়িতে পৌঁছে উঠানে গর্ত খুঁড়ে প্রায় ২০ ফুট ভিতর থেকে পচা অবস্থায় লাশটি বের করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করে তদন্ত চলছে। শীঘ্রই পলাতক অভিযুক্ত শ্যামলাল চৌরাসিয়াকে গ্রেফতার করা হবে। এই হত্যার ঘটনায় ওই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।