একেবারে অশ্লীল কথাবার্তায় ভর্তি মাধ্যমিকের উত্তরপত্র। আর এই অপকর্মের কারণে ওই পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তি নিল রাজ্য। মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্রে অস্বাব্য ভাষায় গালিগালাজ লিখে রেখেছিলো ওই ছাত্ররা। উত্তরপত্রে এই অকথ্য ভাষার প্রয়োগের কারণে মধ্যশিক্ষাপর্ষদ থেকে ওই তিনজন পরীক্ষার্থীর স্কুল কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি স্কুল গুলিকে সতর্কও করা হয়েছে।
পর্ষদ থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই অপরাধে অভিযুক্ত ওই পরীক্ষার্থীতের অভিভাবকদের ডেকে পাঠিয়েছিল পর্ষদ, তারপর ওই ছাত্ররা উত্তরপত্রে কি লিখেছে তাও তাদের দেখানো হয়। মধ্যশিক্ষাপর্ষদ নিজেরাও হতবাক। সরাসরি বাতিল করা হয়েছে ওই তিনজন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা তার পাশাপাশি বেশ কিছু সংখ্যক ছাত্রদেরও উত্তরপত্রে অশ্লীল শব্দ লেখা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
আসলে কিছু ছাত্রের উত্তরপত্র দেখে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে পর্ষদ। অকথ্য ভাষায় অশ্লীল কথাবার্তা লেখা সেই উত্তরপত্রে, ওই ছাত্রদের মধ্যে কেউ কেউ আবার উত্তর লেখার পর বাকি পৃষ্ঠায় গালিগালাজ লিখে রেখেছে। অনেকে আবার উত্তর লিখতেও পারেনি। আর সে কারণেই সম্ভবত সমস্ত রাগ গিয়ে পড়েছে পরীক্ষার খাতায়। যারা পরীক্ষক তাদের মতে এটা কাউকে উদ্দেশ্য করে লেখা কিন্তু নয়, ইচ্ছা করেই উদ্দেশ্যহীন ভাবে যা মনে এসেছে লিখে গিয়েছে। এরমধ্যে এমন কিছু লেখাও আছে যে শব্দের কোনও অর্থ হয়না ।
উত্তর না লিখে শুধুমাত্র পাস করানোর অনুরোধ করে ২০টাকার নোট জুড়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও আগে ঘটেছে। কিন্তু উত্তরপত্রে এমন অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি আগে হয়নি ! অনেকের মতে গত বছর দুই লকডাউনের ছাত্রদের মানসিক সমস্যা বেড়েছে আর সেই মানসিক বিকৃত চিন্তাভাবনা থেকেই এমন কাজ হয়েছে। ধৈর্যহীন হয়েছে পড়ছে তারা, সেই কারণেই পরীক্ষার খাতাতেও এমনটাই ঘটছে বলে শিক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।