২০২০, সাল থেকেই শুরু হয়েছে ঘরবন্দি জীবন। ওয়ার্ক ফ্রম হোমের যুগে স্বামী-স্ত্রী ২৪ ঘণ্টা একসাথে কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন পুরনো রোমান্স ফিরে আসছে তেমনই সারাক্ষণ একসঙ্গে থাকার কারনে এবং বাইরের জগৎ একেবারে না থাকার জন্য প্রায়শঃই খিটিমিটিও লাগছে। দেখা দিচ্ছে মতের অমিল। এমন দম্পতির সংখ্যা নেহাত কম নয় যাঁদের লকডাউনের দিনগুলো ঝগড়াঝাঁটিতেই কাটছে। আগে নানা ব্যাস্ততায় পরস্পরের সময়টুকুও ছিল সীমাবদ্ধ।
এতটা সময় কাছাকাছি থাকার দরুন পরস্পরের যে ছোটোখাটো যে ভুল ভ্রান্তি চোখেই পড়ত না, এখন সে সবই আরও বেশি করে চোখে ধরা পড়ছে। ফলে মেজাজ ধরে হারাচ্ছেন বেশীর ভাগ দম্পতিই। রিলেশনশিপ কাউন্সেলরের দ্বারস্থও হচ্ছেন অনেকে। সার্ভে বলছে এই লকডাউন বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনের সংখ্যাটা অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে।
আপনিও যদি একই সমস্যায় পড়ে থাকেন, এবং চান দাম্পত্য সম্পর্কটা ভালো করে তুলতে, তা হলে আজই কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করুন!
নিজেদের মধ্যে বেড়ে চলা মনোমালিন্য হওয়ার কারণগুলো তলিয়ে দেখুন
একটু ভেবে দেখুন, আপনার পার্টনারের কোন আচরণগুলো আপনার সবচেয়ে বিরক্তিকর লাগছে? ঠিক সেইভাবে নিজের আচরণের প্রতিও সতর্ক হোন। এব্যাপারে সঙ্গীর সাথে খোলামেলা কথা বলুন। সমস্যাগুলো খুজে পেলে তার সমাধানও পেয়ে যাবেন।
পরস্পরকে স্পেস দিন
চব্বিশ ঘণ্টা এক বাড়িতে বদ্ধ থাকতে হলে একে অপরকে স্পেস দেবেন না এমনটি ভুলেও করবেন না। নিজের নিজের কাজের স্পেস আলাদা করুন। এছাড়া, কাজের বাইরে কোয়ালিটি টাইম কাটানোর সময়টাও যে সবসময় এক সঙ্গে কাটাতে হবে, তা নয়। নিজেদের জগৎ রাখুন।
একে অপরের সাথে ভালো সময় কাটান
নিজের স্পেস খুঁজতে গিয়ে পার্টনারের সঙ্গে কথা বার্তা একেবারে বন্ধ করে দেওয়াও কাজের কথা নয়! নেটফ্লিক্স আর সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে সারাদিন কিছুটা সময় বার করে সঙ্গীকে দিন। তার সাথে বসে গল্প করুন।
একে অপরের সাথে শারীরিক সম্পর্কের উন্নতি করুন।
ওয়ার্ক ফ্রম হোম এর চাপে আর বাড়িতে থাকার অবসাদের জন্য যৌনতাকে অবহেলা করবেন না! সেক্সের মাধ্যমে অনেক স্ট্রেসের থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব, তার সঙ্গে সঙ্গীর সঙ্গে রসায়নটা ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগও পাবেন। গবেষণা বলে সেক্স মনকে ভালো রাখার সব চেয়ে ভালো দাওয়াই।
এই সমস্ত কথা গুলি মেনে চললে আপনাদের লকডাউনের সময়টাও অনেক বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠবে।