Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলে এখনই সতর্ক হয়ে যান সাবধানে’, সাবধান করল কলকাতা পুলিশ!

বিজ্ঞানের আশীর্বাদের সব মানুষের জীবনেই এখন অপরিহার্য আধুনিক স্মার্ট ফোন। স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহারের বহু সুবিধা যেমন আছে তেমনি ভয়ও কিছু কম নেই। অপরধিরা এখন বহু ক্ষেত্রেই এই স্মার্ট ফোন এর মাধ্যমে যেন অনলাইনে প্রতারণার ঘটনা দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে। এখনকার দিনে ঠিক কতজনের কাছে আপনার মোবাইল নম্বর আছে, তা আপনার নিজেরও জানা সম্ভব না। চেনা নম্বরের পাশাপাশি অনেক সময়ই আসে অনেক অচেনা নম্বর থেকেও আসে ফোন। আমরা সেই ফোন ধরিও। আর এই ফোন ধরার মধ্যেই অনেক সময় বিছানো থাকে প্রতারণার জাল। কখন যে আপনি কর টার্গেট হয়ে যাবেন আপনার পক্ষে বুঝে ওঠা সম্ভব নয়। তাই কলকাতা পুলিশ বলছে আজই সতর্ক হতে। সম্প্রতি তাদের এক ফেসবুক পোস্টে কলকাতা পুলিশের তরফে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে বলা হল, ‘ফোন ধরবেন সাবধানে’। কিন্তু কেন দেওয়া হচ্ছে এই সতর্কতা জানেন? আসুন জেনে নিই।

ফোন মারফত নানা যে বহু প্রতারক সাধারন মানুষকে ঠকানোর জাল পেতে থাকে, সেই বিষয়ে আমরা প্রায় সকলেই জানি। অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে তাই বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই এসেছে অনেক সতর্কতা এবং সচেতনতা। কিন্তু একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই হতে পারে মারাত্মক ফল। আর এই বিপদের ফলে আপনার যে শুধু অনলাইন টাকা পয়সার প্রতারণা হতে পারে তাই নয় পড়তে পারে ব্ল্যাকমেলার দের হাতেও। কিন্তু কিভাবে? সম্প্রতি কলকাতায় ঘটেছে এমনই এক ফোন ধরার ঘটনা। সেই বিষয়ে তাই সাবধান করল কলকাতা পুলিশ। তাদের একটি ফেসবুক পোস্টে এ বিষয়ে বলা হয়েছে।

কলকাতা পুলিশ ওই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জানিয়েছে একটি ঘটনার কথা। গত জুন মাসে এই প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে ফুলবাগানের সুরেন সরকার রোড এলাকার বাসিন্দা ষাটোর্ধ এক ব্যাক্তির সাথে। পেশায় চিকিৎসক ওই ফুলবাগান থানার মাধ্যমে পুলিশ লিখিতভাবে অভিযোগ জানান, ১৭ জুন তার কাছে এক অপরিচিত নম্বর থেকে ভিডিও কল আসে। রাত নটা থেকে এগারোটার পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ওই নম্বরের মাধ্যমে ভিডিও কল মারফত যোগাযোগ করে অজ্ঞাতপরিচয় কোনো এক ব্যক্তি, এবং ভিডিও কল চলাকালীন ওই চিকিৎসকের ছবি স্ক্রিনশট মোবাইলে রেকর্ড করে রাখে সে। পরবর্তী সময়ে তাঁর ছবিকে বিকৃত করে জুড়ে দেওয়া হয় কিছু অশ্লীল ছবির সঙ্গে, এবং অজ্ঞাতপরিচয় ব্যাক্তিরা তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা না দিলে সেইসব ছবি তারা পোস্ট করবেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই চিকিৎসকের ফেসবুক বন্ধুতালিকার থাকা মানুষের কাছেও পৌঁছে যাবে সেই সব ছবি। প্রথমে চিকিৎসক চাপে পড়ে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অভিযুক্তের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকাও পাঠান। পরে সিদ্ধান্ত নেন পুলিশের কাছে যাওয়ার।

অভিযোগ আসার সাথে সাথেই তৎপর হয়ে ওঠে কলকাতা পুলিশ। নেমে পড়ে তথ্য সংগ্রহের কাজে। যে নম্বর গুলি থেকে ভিডিও কল আসত সেগুলি এবং অন্যান্য উপায় মারফত সংগৃহীত খবর এবং অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৬ই অগাস্ট রাজস্থানের আলওয়ার শহর থেকে গভীর রাতে কলকাতা পুলিশ ফকরুদ্দিন এবং আসলম দীন খান নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আলওয়ার পুলিশের সহযোগিতায়। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে চারটি মোবাইল ফোন এবং তিনটি ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড। একটি এটিএম কার্ড এক অভিযুক্তর ফোন নম্বরের সঙ্গে যুক্ত করা আছে। অভিযুক্তদের ট্রানজিট রিমান্ড-এর অনুমতি নিয়ে কলকাতায় নিয়ে আসে পুলিশ। এই ঘটনার পরই মানুষকে এই জাতীয় প্রতারকদের থেকে বেঁচে থাকতে বলছে কলকাতা পুলিশ।

Related posts

যৌন সঙ্গমের পর যে ৪টি কাজ করতে কখনো ভুলবেন না

News Desk

৫% কমল করোনা দৈনিক সংক্রমনের হার! উদ্বেগ বাড়িয়ে ওমিক্রনে সক্রিয় রোগীর নিরিখে শীর্ষে বাংলা

News Desk

৭ বছরের খুদের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ক্যানিং লোকাল

News Desk