শহর কলকাতা ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে শহরের একাধিক এলাকা ভরা কোটালের জেরে জলমগ্ন। সঙ্গে বৃষ্টি যুক্ত হয়েছে। সেই জল নামতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে কলকাতা পুরসভা জানিয়েছে। দ্রুত জল নামাতে বিভিন্ন এলাকার ম্যানহোল খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে CESC বিপদ এড়াতে শহরের একাধিক এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না জল না নামা পর্যন্ত বলে খবর।
পূর্ণিমা, চন্দ্রগ্রহণ এবং ভরাকোটালের জেরে গঙ্গা ও আদিগঙ্গার জলস্তর জলস্তর বেড়েছে। আর তার জেরেই জলমগ্ন দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট, রাসবিহারী, ভবানীপুর ও চেতলার বিস্তীর্ণ এলাকা। বসতি এলাকায় নোংরা জল ঘরে ঢুকেছে। এদিকে জলস্তর আরও বাড়বে রাতে জোয়ার এলে। সেই সময় আরও অবনতি হতে পারে পরিস্থিতির। আর এই জমা জল থেকে বিপদ ঘটতে পারে। দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে সাঁকরাইল, বাউড়িয়া, বজবজ ও কালীঘাটের একাংশে । উল্লেখ্য, তড়িদাহত হওয়ার ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনে জলমগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ এড়াতে পরিষেবা বন্ধ রাখার আবেদন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই করেছিলেন।
এদিন বিদ্যুতের তার ছিঁড়েছে রাজ্যের বহু জায়গায়। প্রচুর ক্ষতি হয়েছে বৈদ্যুতিক পোস্টের। তবে এখনও জানা যায়নি সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, অনেক এলাকায় তার ছিঁড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের। ক্ষয়ক্ষতির আঁচ পাওয়া যাবে বিকেলের পর। এদিকে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে রয়েছে । এই পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে ? এই প্রশ্নের জবাবে সিইএসসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”যে সমস্ত এলাকায় জমা জলের স্তর বেড়ে গিয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে সেখানে । এর মধ্যে সাঁকরাইল, বাউড়িয়া, বজবজ ও কালীঘাটের একাংশ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ফিরিয়ে দেওয়া হবে সংযোগ ।”