এখনও কেউ বিশ্বাস করতে পারছেন না গায়ক কেকে আর আমাদের মধ্যে নেই। ‘টদাপ-তদাপ কে ইস দিল সে’, ‘পাল ইয়াদ আয়েঙ্গে ওহ পাল’ এবং ‘আঁখোঁ মে তেরি’-এর মতো শত শত সুপারহিট রোমান্টিক গান গাওয়া বলিউড গায়ক কে কে, কলকাতায় একটি লাইভ কনসার্টের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার পুরো নাম কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ এবং তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৩ বছর। কিন্তু সামনে এসেছে এমন কিছু ভিডিও যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি অস্বস্তি বোধ করছেন, ঘামছেন। তাই প্রশ্ন উঠছে আর একটু সর্তকতা কি নেওয়া যেত না?
কলকাতার উল্টাডাঙ্গার গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের ফেস্টে নজরুল মঞ্চে একটি কনসার্ট করছিলেন কেকে। তিনি তার লাইভ পারফরম্যান্সের সময় অসুস্থ বোধ করেছিলেন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় শুরু হয় অনুষ্ঠানটি। শো শেষে তিনি এসপ্ল্যানেডে তার হোটেলে ফিরে আসেন, যেখানে তিনি শারীরিক অস্থিরতার কথা অন্যদের জানান। রাত ১০.৩০ টার দিকে তাকে কলকাতা মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে (সিএমআরআই) নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
কনসার্টের কেকে-র একটি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। এই ভিডিওতে কেকে শারীরিক কষ্ট আর অস্বস্তি হচ্ছিল, সেটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। পারফরম্যান্সের সময় তার খুব গরম লাগছিল, তিনি দরদর করে ঘামছিলেন। এবং তিনি বারবার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুচ্ছছিলেন। গরম যখন সহ্য করতে পারেন না, তখন নাকি এয়ার কন্ডিশনার নিয়েও একবার কথা বলেন। বলেন স্টেজের স্পটলাইট গুলি নিভিয়ে দিতে। শুধু তাই নয়, নিজেকে ঠাণ্ডা করার জন্য তিনি এখানে-সেখানে ঘোরাঘুরি করেন, তবে ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে তার খুব গরম অনুভব হচ্ছিল।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি যে পারফরম্যান্সের পরে, কেকে যখন সুস্থ বোধ করছিল না, তখন তিনি হোটেলে যান এবং সেখানে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে।
এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। গায়কের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাকই তার মৃত্যুর কারণ।
কেকে-র মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করছেন তাঁর ভক্তরা। একই সঙ্গে কেউ কেউ কনসার্ট কর্তৃপক্ষকে নিশানা করছেন কেন তারা অনুষ্ঠানস্থলে এয়ার কন্ডিশনারের যথাযথ ব্যবস্থা করেননি। কেউ কেউ লিখছেন অডিটোরিয়ামে এসি ঠিক ছিল না। এটি একটি উন্মুক্ত অডিটোরিয়াম ছিল না। কিছু কিছু মানুষ অভিযোগ করেছেন যে শো কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণেই কে কে মারা গেছেন।
একজন মন্তব্য করেছেন, কেকে যদি সেই অতিরিক্ত ভিড়ের বন্ধ অডিটোরিয়ামে পারফর্ম না করতেন তবে তিনি হয়তো আজ বেঁচে থাকতেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি তিনি কতটা অস্বস্তিতে রয়েছেন। কিন্তু তারপরও তিনি অনুরাগী, শ্রোতাদের জন্য পারফর্ম করেছেন।