Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
স্বাস্থ্য

করোনা কালে আপনার শিশুর শরীরে ইমিউনিটি বাড়াতে কি ডায়েট জরুরি। পড়ুন।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে শিশুরাও খুব একটা সুরক্ষিত নয় সেটা বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকদের বড় অংশ। তাই শিশুদের জন্য ইমিউনিটি বুস্টিং ডায়েট খুব জরুরী। সদ্যোজাত থেকে ৩-৪ বছর বয়স অবধি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শিশুর ডায়েট কেমন হবে, তার হদিশ দিলেন নিউট্রিশিয়ানিস্ট অ্যান্ড ডায়েটিশিয়ানরা।

করোনা কালে আপনার শিশুর শরীরে ইমিউনিটি বাড়াতে কি ডায়েট জরুরি। পড়ুন।

বাচ্চাকে জন্ম দেওয়ার সময় যদি মা কোভিড আক্রান্ত হয় তাহলে কি করণীয়। মা যদি করোনা পজেটিভ হয় তাহলে হাইজিন মেনে বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। পোশাক পাল্টে, হাত ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে, মুখে মাস্ক পরে শিশুকে ব্রেস্ট ফীড করান। জন্মের এক ঘণ্টার ভেতরে খাওয়ানো শুরু করা উচিৎ। মায়ের দুধে নানা রকমের অ্যান্টিবডি থাকে। সেগুলো সদ্যোজাতকে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচায়। এটা বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত। করোনা আক্রান্ত অবস্থায় দুধ খাওয়ালে করোনা হয়ে যাবে এহেন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনও অবধি মেলেনি। ফলে মায়ের দুধ সম্পূর্ন সুরক্ষিত এবং শিশুর জন্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ডায়েট।

নিউট্রিশিয়ানিস্টরা জানাচ্ছেন ৬ মাস অবধি শিশু শুধুমাত্র ব্রেস্ট ফিডিং করবে। এক ফোঁটা জলও নয়। কারণ মায়ের দুধ তাদের জন্য সে সময় সবচেয়ে নিউট্রিশানালি পরিপূর্ন আর সর্বাধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ খাদ্য। এছাড়াও মায়ের দুধে পর্যাপ্ত পরিমানে জল থাকেই শিশুর জন্য। ১ দিনে শিশুকে ৮ থেকে ১০ বার খাওয়ান। মায়ের দুধে শিশুর সংক্রমণ প্রতিরোধকারী নানা উপাদান থাকে।

শিশুর ৬ মাস বয়স থেকে মায়ের দুধও উৎপাদন কমতে থাকবে। তখন নরম ফল যেমন কলা, পেঁপে বা ডালসেদ্ধ, গাজর সেদ্ধও চটকে খাওয়াতে পারেন। বাড়িতে বানানো খাবার দিন। ডিম দিতে শুরু করতে পারেন তবে শুধু কুসুমের অংশ দিন। শিশুকে দু’-তিন চামচ করে খাবার খাওয়ান। কিন্তু বারে বারে খাওয়ান। মুড়ি গুঁড়ো করে খাওয়াতে পারেন।

এছাড়া সুজির পায়েস, মুড়ি, ছোলা, ঘি বা মাখন দিন। এই সব খাবারে ক্যালোরি থাকায় এনার্জি পাবে শিশু। ৬ মাস থেকে ৮ মাস পর্যন্ত বয়সের শিশুকে আগে মায়ের দুধ খাইয়ে তারপর অন্যান্য খাবার খাওয়ান। কারণ মায়ের দুধে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফেকটেড প্রপার্টি রয়েছে। যা যে কোনও সংক্রমনের হাত থেকে বাঁচাবে।গাজর বা আলু সেদ্ধ করে চটকে মাখন লাগিয়ে শিশুকে খাওয়ান ৮ মাস বয়সে।

১ বছর পূর্ণ হয়ে গেলে বাড়ির প্রত্যেক সদস্য যা খাবেন, শিশুও কম বেশি তাই খাবে। তবে শিশুর খাবারে ঝাল না দেওয়ারই চেষ্টা করবেন। এর মধ্যে শিশু কোনো কারণে করোনা আক্রান্ত হলে ব্রেস্ট ফিডিং বন্ধ করবেন না। তার সঙ্গে ডায়েটে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ক্যালোরি ইনটেক বাড়াতে হবে। বাচ্চাকে বারে বারে অল্প অল্প করে খাওয়ান।

তিন-চার বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাকে বিভিন্ন হেলদি স্ন্যাক্স দিন। তবে দোকান থেকে কিনে চিপসের প্যাকেট বা সুগার বেশি থাকে এমন কেক ইত্যাদি দেবেন না। এর মধ্যে ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা শিশুর শরীরে ক্ষতিকর। বরং বাড়িতে বানানো বিভিন্ন খাবার দিন। রকমারী সবজি দিয়ে তরকারি সাথে রুটি করে দিন। অল্প তেলে বানানো পরোটা সবজি। ছোলা, মটর আলু দিয়ে হেলথি আলুকাবলি করুন। মরশুমি ফল দিয়ে ফ্রুট স্যালাড বানান। ঘরে বানানো তিলের লাড্ডু, বেসনের লাড্ডু দিতে পারেন। এতে হেলদি ফ্যাট থাকে।

Related posts

আপনি রান্নায় যে তেল ব্যাবহার করছেন সেটা খাঁটি তো? জেনে নিন সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে!

News Desk

নিয়মিত সেক্সে বাড়বে ইমিউনিটি? কি বলছে সেক্স বিশেষজ্ঞরা

News Desk

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থেকে নিজেকে বাঁচানোর ৬টি উপায় জেনে নিন

News Desk