সমাজে মানুষ এমন অনেক নিয়ম-কানুন তৈরি করেছে যাতে মানুষকে দাসত্বের মধ্যে থাকতে হয়। যারা তাদের নিয়মকে বিশ্বাস করে না, মানুষ তাদের আজব বা অদ্ভুত ভাবতে শুরু করে। অনুরূপ নিয়ম নারীর সৌন্দর্যের সাথেও জড়িত। বহু বছর ধরে লোকেরা বিশ্বাস করে আসছে যে শুধুমাত্র ফর্সা মহিলারাই সুন্দর, তাদের ভ্রু, চুল, মুখের চুল সবই সেট করা উচিত, তাদের ওজন কমানো উচিত, অথবা তাদের মানানসই পোশাক পরা উচিত। কিন্তু মানুষ ভুলে যায় যে নারীরাও একজন মানুষ এবং তাদের অধিকার আছে নিজেদেরকে নিজেদের মতন রাখার। সম্প্রতি এই বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন কেরালার এক মহিলা। যিনি গর্বের সাথে নিজের গোঁফ রাখেন।
কেরালার কান্নুর জেলার বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী শ্যাজা আজকাল চর্চায় রয়েছেন। আসলে, শায়জা গোঁফ রাখতে পছন্দ করে। অনেক মহিলার মত, তার উপরের ঠোঁটে চুলের বৃদ্ধি খুব বেশি। শুধু তাই নয়, তার ভ্রু এবং মুখের অন্যান্য অংশের লোমও দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শায়জা নিজেকে এভাবেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এখন তিনি লোম পরিষ্কার করেন না। কিন্তু এত সহজে তিনি এই আত্মবিশ্বাস পাননি।
5 বছর আগে লোম কাটা বন্ধ:
যারা তাকে প্রথমবার দেখে তারা অবশ্যই জিজ্ঞাসা করবে কেন শায়জা তার মুখায়বের লোম পরিষ্কার করে না। শায়জা বলেছেন যে তিনি তার লোম ভালবাসেন এবং নিজেকে সেভাবেই গ্রহণ করেছেন। আগে তিনি সবসময় তার মুখের লোম পরিষ্কার করতেন কিন্তু হঠাৎ ৫ বছর আগে তিনি অনুভব করেছিলেন যে এখন তার আর মুখের লোম পরিষ্কার করার দরকার নেই। যখন তার মুখের লোম ঘন হতে শুরু করে, শায়জা সেগুলি পরিষ্কার করা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়।
যাইহোক, শায়জা প্রথম মহিলা নন যিনি তার মুখের অতিরিক্ত চুল পছন্দ করেন। ইংল্যান্ডে বসবাসকারী ৩১ বছর বয়সী হারনাম কৌরও একই দৌড়ে রয়েছেন এবং এখন তিনি সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন হয়ে উঠেছেন। ইনস্টাগ্রামে তাকে ফলো করেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ। সম্প্রতি, মিরর ওয়েবসাইটে কথা বলার সময়, হারনাম তার জীবন সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেছেন এবং বলেছেন যে কীভাবে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে মহিলাদের দাড়ি গজাতে শুরু করে। হারনামের বয়স যখন ১১ বছর তখন তার ঘাড়ে ও চিবুকে চুল আসতে শুরু করে। ১২ বছর বয়সে যখন তার মা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান, তখন দেখা যায় যে তার পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম রয়েছে। তার চুলের বৃদ্ধি খুব বেশি ছিল, যার কারণে তিনি আর কখনও চুল কাটবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন।