বর্ষাকালে অতিরিক্ত আর্দ্রতার সমস্যা সবচেয়ে বেশি বিরক্ত করে। বাইরে বৃষ্টি হলেও ঘরের ভেতরে প্যাচপ্যাচে গরম আর অস্বস্তি মানুষকে নাজেহাল করে। আপেক্ষিক আর্দ্রতা এই সময় এতটাই বেড়ে যায় যে ঘামতে থাকে মানুষ। তাই গরম কালে তো বটেই, বর্ষা কালেও এসি-তে বসেই ঘাম ও ঘামের চটচটে আঠালো ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিছু লোকের গরম এতটাই বেশী যে তারা এসির চালিয়ে ছাড়া বসতে বা ঘুমাতে পারে না এবং এসির তাপমাত্রা মাত্রাও রাখে অনেকটাই নিচে (18 ডিগ্রী থেকে 20 ডিগ্রীর মধ্যে)। আপনিও যদি এমনটি করেন তবে আজই সাবধান হয়ে যান। খুব কম তাপমাত্রায় এসি চালানো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর হতে পারে। এটি আপনার স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলে। আসুন জেনে নিই কোন তাপমাত্রায় এসি চালাতে হবে এবং কম তাপমাত্রায় এসি চালানোর অসুবিধাগুলো কী কী।
এসি চালান শুধুমাত্র 24-25 ডিগ্রীতে:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার সব সময় 24 থেকে 25 ডিগ্রিতে এসি চালানো উচিত। এর চেয়ে কম তাপমাত্রায় এসি চালানো আপনার স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। বাইরের তাপমাত্রা থেকে ঘর বা ঘরের তাপমাত্রায় কোনো চরম পরিবর্তন হওয়া উচিত নয়, তা সে শীতকাল হোক বা গ্রীষ্মকাল। আমাদের শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে অনেক কম তাপমাত্রায় সেট করা এসি ঘর থেকে আর্দ্রতা বাষ্পীভূত করে। যা ত্বকের ক্ষতি করে। এমন অবস্থায় ত্বক থেকে কম ঘাম বের হয় এবং বেশি তেল বের হতে থাকে। এর ফলে ব্রণ, অকালে বলিরেখা এবং ত্বকে জ্বালাভাব হতে পারে। চরম নিন্ম তাপমাত্রায়, ত্বকের ছিদ্রগুলি আটকে যেতে পারে, যা ত্বকের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে।
কম তাপমাত্রায় এসি চালানোর ক্ষতিকর দিক গুলি কি কি জানেন:
• নিন্ম তাপমাত্রায় এসি চালানো শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করে।
• ভাইরাস এবং জীবাণু ঠাণ্ডা ও শুষ্ক বাতাসে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ছড়িয়ে পড়ে। তাই ঘনঘন অসুস্থ হওয়ার লক্ষণ বৃদ্ধি পায়।
• খুব কম তাপমাত্রায় এসি চালানো অ্যাজমা এবং মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
• যারা বেশি এসি-তে থাকেন, তারা সময়ের আগেই বৃদ্ধ দেখাতে শুরু করেন। এই ধরনের মানুষের ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে। অকালে বুড়িয়ে যান।
• চুল পড়া, নাক বন্ধ এবং গলা শুকিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তো রয়েইছে।