সাম্প্রতিক পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে তোলপার ফেলেছে রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারি। জানা গিয়েছে সিবিআই কে তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারির অনুমতি দিয়েছেন খোদ রাজ্যপাল। বহুদিন ধরেই রাজ্য রাজনীতিতে রাজ্যপাল এবং শাসক দলের মেরুকরণ স্পষ্ট। ভোটের পরে রাজ্যপালের শিতলকুচি সফর ঘিরে এই বিরোধ আরও বেড়েছে। তারপর এই গ্রেফতারির আদেশ নতুন করে এই সংঘাতে ঘৃতাহুতি করেছে মাত্র।
এইবারে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন শাসক দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)।
রবিবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘উনি (রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়) জেনেবুঝে, ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলার ক্ষতি করে চলেছেন। আর কোনও রাজ্যপাল এমন করেন না।’ এরপরই তৃণমূল সাংসদের আরো আক্রমণ করে বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী, এখন ওনার বিরুদ্ধে যে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, তা আমি জানি। কিন্তু সকলকে আমি অনুরোধ করব, এখনও সকলে সব জায়গায় ধনখড়ের বিরুদ্ধে এফ আই আর (FIR) করুন। এখন কিছু করা যাবে না। কিন্তু যেদিন ওনার মেয়াদ ফুরোবে। সেইদিনই ওই FIR-গুলির মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তা দেখতে হবে। এই প্রেসিডেন্সি জেলেই ওনাকে ঠাঁই করে দেওয়া যেতে পারে।’
স্বাভাবিক ভাবেই এমন কথা রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor of West Bengal) বিজেপি দলের হয়ে কাজ করছেন। যেমন কোনো রাজনৈতীক দলের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্টরা করে থাকেন। তৃণমূলের তরফে এমন অভিযোগ উঠে এসেছে বার বার। সারা দেশে যখন করোনা মোকাবিলায় ব্যাস্ত তখন রাজ্যপাল নির্বাচন পরবর্তী হিংসা পরিদর্শনে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা যেমন কোচবিহার বা নন্দীগ্রামে ছুটে গিয়েছেন। দেখাও করেছেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সাথে।
আর তার পর পরই এসে পড়ে নারদ কাণ্ড। শুধু চার্জশিটে দাখিল করায় সিবিআই-কে অনুমতি দেওয়াই নয়, নারদ-তদন্তে চারজন হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী এবং এক আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে সিবিআই যে চার্জশিট জমা দিয়েছে , তাতে খুবই অবাক ভাবে সাক্ষী তালিকায় নাম রাখা হয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। এরপরই তৃনমূলের তরফে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় সমালোচনা শুরু হয়ে যায়।