সৌন্দর্য যেন চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে শরীরে! এই ‘যুবতীর’ সুন্দর মুখের পিছনের আসল রহস্য জানলে চমকে যাবেন! এই যুগ সোশ্যাল মিডিয়ায় যুগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের সৌন্দর্যের জন্য আলোচিত হয় বহু নারী। বর্তমানে তেমনই এক ‘অপ্সরা সুন্দরী’ অনলাইন দুনিয়ায় মানুষের হুঁশ উড়িয়ে দিচ্ছে। সেই সুন্দরীর সৌন্দর্য এতটাই নিখুঁত যে ছেলেরা তাঁকে দেখার সাথে সাথে তাঁর প্রেমে পড়ে এবং তাদের হৃদয় দিয়ে দিতে চায়। সেই সুন্দরী জাপানের। তার অপরূপ সৌন্দর্যের সামনে সব ভুলে যায় জাপানের যুবকরা। এর সুন্দর চেহারা দেখে অল্পবয়সীদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় হঠাৎই।
তবে কেউ যখন এই সৌন্দর্যের পেছনে লুকানো সত্যতা জানতে পারে, তখন তারা নিজের ভাষা হারিয়ে ফেলে। উনিশ কুড়ি বছরের এক তন্বী সুন্দরীর মতো দেখতে এই মেয়েকে। কিন্তু সে আসলে মেয়ে নয় একটি ছেলে। জাপানে বসবাসকারী ইদেগামি বাকু নামের এই ছেলেটির চেহারা দেখে মানুষ হামেশাই ধোঁকা খায়।
আসলে, এই ছেলেটি তার মেয়েলি চেহারার জন্য আপাতত দারুন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। এর মেয়েলি চেহারা দেখে কেউ আন্দাজও করতে পারবে না আসলে সে ১৯ বছর বয়সী একটি ছেলে। ইদেগামি দেখতে একজন পুরুষের চেয়ে বেশী একজন নারীর মতন লাগেন এবং তার গলাও অবিকল কোনো নারীর মতই। সে তার কিলার লুক দিয়ে ইন্টারনেট দুনিয়ায় সেনসেশন তৈরী করেছে।
মেয়েলী আচরণ:
এই কথা শুনে নিশ্চয় আপনি বারংবার এই যুবকের ছবি দেখবেন। কিন্তু যতই জুম করে দেখুন না কেন আপনি কোনো দিক থেকে এর সত্যতা জানতে পারবেন না। ইদেগামি বাকু একটি মেয়ের মত লুক পেতে মেকআপ এবং ফটো ম্যানিপুলেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এ ছাড়া তিনি মেয়েদের মতো আচরণ বা মেয়েলী আবভাব এও পারদর্শী।
কয়েক বছর ধরে জাপানে ইদেগামি বাকু বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। ইদেগামী মত মেয়েলী মানুষ আপনি কখনো দেখেননি। এখানে আপনাদের জানাই যে ইদেগামি প্রথম জাপানের ট্যালেন্ট হান্ট জুনন সুপার বয় (JUNON Super Boy) -এ গিয়েছিলেন। যেখানে লোকে তার মেয়েলি চেহারা দেখে অবাক হয়েছিল। ইদেগামি এই প্রতিযোগিতায় জিততে না পারলেও তার সৌন্দর্য মানুষের চোখে লেগে চিরস্থায়ী জায়গা করে নেয়। তার জনপ্রিয়তার কারণে, ইদেগামি নিজেকে কোনো বিশেষ লিঙ্গের বলে মনে করেন না।