তালিবান ফিরতেই আতঙ্কের পরিবেশ ফিরেছে আফগানিস্তানে। কিন্তু বিশ্ববাসীর কাছেও ত্রাস আফগানিস্তান কেনোনা অতীতে নিজেদের দেশে নানা সন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দিয়েছে তারা। সেই উদ্বেগ এবারে ভারত সরকারের কপালেও। কেনোনা সম্প্রতি তালিবানের কাছে কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর উদ্দেশ্যে পৌঁছে গেছে জইশ-ই- মহম্মদের মাথারা।
তালিবানের সহায়তা নিয়েই কাশ্মীরে ফের সন্ত্রাসের আবহাওয়া তৈরীর ছক করছে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই- মহম্মদ! সূত্রের খবর, সম্প্রতি তালিবানের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আফগানিস্তানে পৌঁছে বৈঠক করে জইশ-ই- মহম্মদের সদস্যরা। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিল জইশ-ই- মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারও। এই কারণে তিনি কান্দাহারে ছুটে গিয়েছিলেন কিছুদিন আগে।
যখন আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিভিন্ন দেশ, তখন রীতিমতো আপ্লুত দেখা গিয়েছিল মাসুদ আজহারকে তালিবদের শাসন নিয়ে। তালিবানের কাবুল জয় নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিল JeM নেতা ১৫ অগাস্ট। ১৯৯৯ সালে মাসুদ আজহার এই জঙ্গি সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই সময় থেকেই এই আতঙ্কবাদী সংগঠন কাশ্মীর উপত্যকায় বিভিন্ন হামলার সঙ্গে জড়িত। প্রসঙ্গত এই জঙ্গি নেতাকে ছাড়ানোর জন্য IC 814 বিমানটি হাইজ্যাক করে আতঙ্কবাদীরা কাঠমান্ডু থেকে লখনউ যাওয়ার পথে। এই বিমানের মাসুদ আজহারের মুক্তি দাবি করা হয় যাত্রীদের মুক্তির বিনিময়ে আতঙ্কবাদীদের তরফে। উল্লেখযোগ্যভাবে, সেই সময় এই বিমানটিকে আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাইজ্যাক করে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সেই সময় তালিবদের হাতে কান্দাহারের ক্ষমতা ছিল। এরপর মাসুদ আজহারকে মুক্ত করেছিল ভারত সরকার বিমানযাত্রীদের রক্ষা করতে। অভিজ্ঞমহলের একাংশের কথায়, জম্মু-কাশ্মীরে আতঙ্কবাদী হামলার ছক কষতে চাইছে জইশ-ই মহম্মদ তালিবানের থেকে সাহায্য নিয়ে ।
তালিবানের অবস্থান
সম্প্রতি তালিবানের তরফে আতঙ্কবাদ, হিংসার সৃষ্টি করবে এই ধরনের কোনও বিষয়ের ক্ষেত্রে আফগানভূমিকে ব্যবহার করতে দেবে না বলে তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে। তালিবান সেক্ষেত্রে জইশ-ই -মহম্মদকে আদৌ সাহায্য করবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
জানা গেছে কেন্দ্রীয় সরকার তরফে সমস্ত এজেন্সিগুলিতে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিষয়টি নিয়ে ।