আগে আগে তো প্রতিযোগিতা করে একটা গোটা কাঁঠালই খেয়ে লোকজন ফেলতেন। এখন আর সেরকম খাওয়া কোথায়? হয়তো দু-এক কুশ খেয়ে আর খেতে চান না গরমের ভয়েই। অনেকে আবার গরিবের খাদ্য মনে করেন কাঁঠাল।
কিন্তু অনেক পুষ্টি কাঁঠালের মধ্যে। যেসমস্ত পুষ্টির প্রয়োজন মানুষের দেহে কাঁঠালের মধ্যে তার সবটাই আছে।
যতটুকু পারেন কাঁঠাল খান বিশেষ করে এই মহামারি করোনাকালে, এখন কাঁঠাল বাজারে উঠেছেও। আপনারই উপকার।
কোন উপাদানটা কাঁঠালে নেই? অনেক রকমের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায় বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, বি-১, বি-২, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ।
কাঁঠালে বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান আছে থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক এবং নায়াসিনসহ।
- কাঁঠালে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ক্ষতিকর ফ্রির্যাডিকেলস থেকে আমাদের দেহকে রক্ষা করে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কাঁঠালের প্রচুর উপকার।
- এছাড়াও যেমন চর্বির পরিমাণ সামান্য কাঁঠালে, তাঁদের শঙ্কার কারণ নেই যারা হয়তো ভাবেন কাঁঠাল খেলে ওজন বাড়তে পারে। ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কম কাঁঠাল ফল খাওয়ার জন্যে ।
- প্রচুর ভিটামিন-এ রয়েছে কাঁঠালে। এটি রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
- তদুপরি পর্যাপ্ত ভিটামিন-সি আছে।
- জানলে অবাক হবেন যে– কাঁঠাল অনেক কার্যকরী টেনশন এবং নার্ভাসনেস কমাতে।
-কোষ্ঠকাঠিন্য কাঁঠাল দূর করে।
- কাঁঠালে ভিটামিন বি৬ রয়েছে। যা ঝুঁকি কমায় হৃদরোগের।
-কাঁঠাল গর্ভবতী মহিলার জন্যেও উপকারি। প্রতিদিন ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঁঠাল খেতে পারলে গর্ভবতী মহিলা আর তাঁর গর্ভধারণকৃত শিশুর পুষ্টির অভাব দূর হয় চিকিৎসা শাস্ত্রের মতে।
-কাঁঠালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় উজ্জ্বলতাও বাড়ে এবং বলিরেখাও কমে ত্বকের।
শুধু কাঁঠাল নয়, অনেক উপকারিতা কাঁঠালের বিচিরও।
ভিটামিন বি-১ কাঁঠালের বিচিতে আছে, ভালো উৎস ভিটামিন বি-১২ এর। এই ফলের উপকারের শেষ নেই।
- খুব উপকারি কাঁঠাল বিচির প্রোটিন। অনেকে মনে খারাপ করেন শরীর ভালো রাখা যাবে না মাছ মাংস খেতে না পারলে। কিন্তু একেবারেই ভুল এই ধারণাটা। কিন্তু উৎকৃষ্ট খাবার কাঁঠাল বিচিও।
-জীবানুনাশক গুণও কাঁঠালবিচির আছে।এমনকি এটি ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণে রাখে।