Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

যার সাথে বিয়ে-যৌন সম্পর্ক হয়েছে সেই স্বামী আদতে নারী! বিয়ের ১০ মাস পর টের পেলেন স্ত্রী

বিয়ে হয়েছে। সংসারও করছেন। কিন্তু ঘুনাক্ষরেও টের পাননি যাকে তিনি বিয়ে করে সংসার করছেন সে আদতে পুরুষ নয় একজন নারী। এইভাবে ১০ মাস কেটে যাবার পর টের পেলেন স্ত্রী যে তার স্বামী আসলে মহিলা।

চমকপ্রদ এই ঘটনাটি ইন্দোনেশিয়ার। ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, ওই নারী তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া প্রতারণার বিষয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন, এরপর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ওই নারী জানান, বিয়ের নামে বড় ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। বিয়ের ১০ মাস পর সে জানতে পারে তার স্বামী আসলে একজন নারী। ২২ বছর বয়সী এক মহিলার এই কাহিনী এখন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে দুজনের দেখা হয়েছিল:

মহিলার স্বামী হিসাবে তার সাথে বসবাসকারী অভিযুক্ত মহিলা আদালতে হাজির হলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। নির্যাতিতা জানিয়েছেন যে তিনি ২০২১ সালে একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে অভিযুক্তের সাথে দেখা করেছিলেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি অ্যাপটিতে নিজেকে মার্কিন-প্রশিক্ষিত সার্জন এবং ব্যবসায়ী হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।

বিয়ের পর মেয়ের বাড়িতে থাকতে শুরু করে:

তিন মাস আলাপচারিতার পর তাকে বিয়ে করেন ওই নারী। বিয়ের পর অভিযুক্ত ‘স্বামী’ সদ্য বিবাহিতাকে নিয়ে কোথাও না গিয়ে নিজের বাবা-মায়ের বাড়িতে থাকতে শুরু করে। যেখানে বেশ কয়েক মাস দুজনে একসঙ্গে থাকতেন। এই সময় তিনি বুঝতেও পারেননি যে তার স্বামী হিসাবে তার সাথে বসবাসকারী ব্যক্তিটি আসলে একজন পুরুষ নয়, একজন মহিলা।

সন্দেহ বেড়ে গেলে নিজেকে সরিয়ে নেন:

মেয়েটির স্বামীরূপি অভিযুক্ত তার কাছে টাকা দাবি করায় ধীরে ধীরে মেয়েটির পরিবারের সন্দেহ হতে থাকে। বেশ কয়েক মাস এভাবে চলতে থাকলে, মেয়েটির বাবা-মা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। অভিযুক্ত এই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে মহিলাটিকে তার পরিবার থেকে দূরে দক্ষিণ সুমাত্রায় নিয়ে যান।

মহিলাটিকে ঘরে বন্দী করেন:

সেখানে নিয়ে গিয়ে তিনি মহিলাকে বন্দী করে ফেলে এবং কারও সাথে দেখা করতে নিষেধ করে। দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ না হওয়ায় মহিলার পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়ে, পরে জাম্বি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ লাহাতে দুজনের সন্ধান পায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, স্বামী হিসেবে বসবাসকারী ব্যক্তিটি আসলে একজন নারী।

শারীরিক সম্পর্কের সময় চোখে কাপড় বাঁধা হতো:

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুক্তভোগীকে তার যৌন জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, ভুক্তভোগী জানান যে তার নকল স্বামী সবসময়ই সেক্স করার আগে ঘরের আলো নিভিয়ে দিতেন এবং তার চোখ বেঁধে রাখতেন। একইসঙ্গে পুলিশকে বলেছে, স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে সে বেশিরভাগ সময় হাত ব্যবহার করত। তবে ভুক্তভোগী জানান, স্বামী হওয়া ওই নারী শারীরিক সম্পর্কের সময় যৌন সরঞ্জাম ব্যবহার করতেন।

বর্তমানে নির্যাতিতার স্বজনরা জানিয়েছেন, ওই বখাটে মহিলা তাদের মেয়ের কাছ থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই বিষয়ে তারা বিচার চান।

Related posts

পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিলেন যুবক

News Desk

৪০০ এর গন্ডি টপকালো দেশের Omicron আক্রান্তের সংখ্যা! কেন্দ্র জানালো আশঙ্কার কথা

News Desk

চাকরির খোঁজে গিয়ে অপহৃত! টাকার জন্য মাসের পর মাস রক্ত ​​বিক্রি করল অপহরণকারীরা

News Desk