বিয়ে হয়েছে দেড় মাস মত। হঠাৎই স্বামী জানতে পারেন তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু সমস্যা হলো তাদের দাম্পত্য দেড় মাসের হলেও গর্ভস্থ ভ্রূণ চার মাসের। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশের কাছে যান যুবকের পরিবার। এনেছেন প্রতারণার অভিযোগ।
ঠিক কী ঘটেছিল? উত্তরপ্রদেশের একটি পরিবারে বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী বেশ সুখেই ছিল। মাসখানেক আগেই বাড়ির ছেলের বিয়ে হয় আড়ম্বরে। শ্বশুরবাড়ির লোকেরাও ভীষণ খুশি ছিল। তাদের পুত্রবধূ বাড়িতে আসার পর থেকে তাদের যেন খুশির অন্ত ছিল না। কিন্তু বিয়ের দেড় মাস যেতে না যেতেই এই সুখের উপর বজ্রপাত হয় যখন ডাক্তার নববধূকে পরীক্ষা করে। সমস্যার জল এতদূর গড়ায় যে বিষয়টি থানায় পৌঁছে যায়। প্রতারণার অভিযোগ আনেন মহিলার স্বামী।
আসলে, উত্তরপ্রদেশের কে মহারাজগঞ্জের কোলহুই থানা এলাকায়, এক যুবকের পায়ের তলায় মাটি সরে যায় যখন তিনি ডাক্তারদের কাছ থেকে জানতে পারেন যে তার স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আশ্চর্যের বিষয়, মাত্র মাস দেড়েক আগে এই তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই যুবকের। সদ্য বিবাহিতের শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
আসলে পেটে ব্যথার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শে সোনোগ্রাফি করা হয়েছিল। এরপর চিকিৎসক জানান, ওই নারীর গর্ভে চার মাস বয়সী একটি ভ্রুণ রয়েছে। এখন ওই নারী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন তার স্বামী। এ বিষয়ে পুলিশ বলছে, বিষয়টি যদিও স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিয়ের একমাস পর থেকে হঠাৎ করেই পেটে ব্যথা শুরু হয় নতুন বিয়ে হয়ে আসা পুত্রবধূর। বাড়িতে ওষুধ দেওয়া হলেও কোনো লাভ হয়নি। পরে পুত্রবধূকে পিএইচসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে পুত্রবধূর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সন্দেহ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা। এর পর সোনোগ্রাফি করা হয়। এরপর জানা যায়, তরুণী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মামলা নথিভুক্ত করার পর এখন পুলিশ প্রতিটি দিক নিবিড়ভাবে তদন্ত করছে। একই সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এবং কেন প্রতারিত হয়েছেন তা জানার চেষ্টা করছেন। তবে হতবাক স্বামী ওই যুবক।