নৃশংস! ক্ষুব্ধ স্বামী সিগারেট দিয়ে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে ছ্যাঁকা দিলেন। শুধু তাই নয়, বিয়ারের বোতল ঢুকিয়ে দিলেন এমনকি ছোট বোনের সাথেও শ্লীলতাহানি করলেন। কেবলমাত্র যৌতুকের টাকার জন্য এমন নিষ্ঠুরতা বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাটি বিহারের মুজাফফরপুর জেলার কারজা থানার। যৌতুকের পাঁচ লাখ টাকা না পেয়ে এমন কাজ করেছেন অভিযুক্ত তদন্তে এমনটাই সামনে এসেছে। বিশেষ POCSO আদালতের বিচারক দীপক কুমার কারজা থানাকে এফআইআর নথিভুক্ত করার এবং বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিহারে মুজাফফরপুর জেলার কারজা থানার এক গ্রামে স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে নৃশংসতার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। যৌতুকের পাঁচ লাখ টাকা না পেয়ে সিগারেট দিয়ে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে ছ্যাঁকা দিয়েছে স্বামী। শুধু তাই নয়, এতেও যখন তার মন ভরেনি, তখন যৌনাঙ্গে বিয়ারের বোতলও ঢুকিয়ে দেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ওই নারীর বিয়ে মো. ইশতিয়াক নামক ব্যাক্তির সাথে হয়েছে। চার বছরের তাদের একটি ছেলেও আছে। বিয়ের কিছুদিন পর পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু পরে স্বামী, শ্বশুর, দেওর ও শাশুড়ি তার কাছে একটি বাইক ও পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকে। দাবি পূরণ না করায় তার স্বামী ও দেওর তাকে বেদম মারধর করে। স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো সিগারেট দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এতেও তার মন ভরেনি, তাই সে যৌনাঙ্গে বিয়ারের বোতল ঢুকিয়ে দেয়। নাবালিকার ছোট বোন তাকে বাঁচাতে এলে তার স্বামী, দেওর ও শ্বশুর তারও শ্লীলতাহানি করে। এ সময় সে যন্ত্রণায় কাঁদতে থাকে, কিন্তু শ্বশুর বাড়ির কোনো সদস্য তাকে সাহায্য করেনি।
স্বামী, শ্বশুর ও দেওরের বিরুদ্ধে ছোট বোনকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা। এই বিষয়ে তিনি বিশেষ পকসো আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই অভিযোগ শোনার পর, বিশেষ POCSO আদালতের বিচারক দীপক কুমার কারজা থানায় এফআইআর নথিভুক্ত করে বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।