আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সকলকে ছেড়ে না ফেরার দেশে জনপ্রিয় ছোটোপর্দার তারকা সিদ্ধার্থ শুক্লা। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে তার শেষকৃত্য। পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেছে সিদ্ধার্থের নশ্বর দেহ, তবুও যেন ভক্তরা কিছুতেই মানতে পারছেন না তার এই আকস্মিক মৃত্যু।
সিদ্ধার্থের মৃত্যুর খবর শোনা মাত্র তার আন্ধেরির ফ্ল্যাটে পৌঁছেছিলেন সিদ্ধার্থের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা। পৌঁছেছিলেন তার বিগ বসের ঘরের বন্ধুরা। সিদ্ধার্থের মা এবং তার বান্ধবী শেহনাজ গিলকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই। টিভি চ্যানেলের কাছে সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থের ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু জন জানিয়েছেন, কেমন ছিল তার শেষ কয়েক ঘন্টা। তার বান্ধবী এবং সিদ্ধার্থের মায়ের সাথেই কথা বলে এই বিষয়ে জানতে পারেন তারা।
গত বুধবার সিদ্ধার্থ রাত ৯.৩০ নাগাদ বাড়ি ফেরেন। শরীর কিছু অস্বস্তি তার সেই সময় থেকেই ছিল। সিদ্ধার্থের মা এবং শেহনাজ দুজনেই সে সময় সিদ্ধার্থের ফ্ল্যাটেই উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রথমে সিদ্ধার্থ কে খেতে দেন লেবুর জল ও পরে সিদ্ধার্থকে ঠান্ডা আইসক্রিম খেতে দেন। কিন্তু তাতেও কম হয়না শরীরের অস্বস্তি। আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে অস্বস্তি। এর পর বান্ধবী শেহনাজ ও তাঁর মা তাঁকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করার কথা বলেন। সিদ্ধার্থের পাশে বসে ছিলেন শেহনাজ। সিদ্ধার্থ ঘুমনোর চেষ্টা করছিলেন কিন্তু ঘুম আসছিল না কিছুতেই। শেহনাজকে তার পাশেই থাকতে বলেন সিদ্ধার্থ। শেহনাজকে পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে বলেন। অবশেষে শেহনাজের কোলে মাথা দিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন সিদ্ধার্থ। ঘনিষ্ঠ সূত্র এমনটাই জানিয়েছে। কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে পড়েন শেহনাজও। পর দিন সকাল সাতটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে শেহনাজ লক্ষ্য করেন একটু অদ্ভুত ভাবে ‘ঘুমিয়ে’ আছে সিদ্ধার্থ। তিনি ডাকতে খেয়াল করেন সিদ্ধার্থ সাড়া দিচ্ছেন না। শরীরও বেশ ঠাণ্ডা। ভয় পেয়ে পরিবারের অন্যদের ডাকতে ছুটে যান তিনি। ফোন করা হয় ডাক্তারদেরও। সিদ্ধার্থ কে নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে ঘোষণা করা হয় মৃত।
শেহনাজ আর সিড সিডনাজ নামে অনুগামীদের কাছে প্রিয়। শোনা যাচ্ছিল আগামী ডিসেম্বরেই সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন তাঁরা। কিন্তু সিদ্ধার্থের এই ভাবে অকালে চলে যাওয়ায় স্বপ্নভঙ্গ হল শেহনাজের। পরিণতি পেল না তাদের প্রেম। মর্মাহত সিডনাজের ফ্যানেরা।