শীত এলেই সর্দি-কাশি বেড়ে যায়। কারও আবার ঠান্ডায় অ্যালার্জি থাকে। সে কারণে হঠাৎ হঠাৎ হাঁচি-কাশি শুরু হয়ে যায়। যেহেতু শীতের সময়ে বায়ুদূষণ বেড়ে যায়, নাকে ধুলোও যায় বেশি। তাই এই সময়ে হাঁচি-কাশির ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকা জরুরি।
এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের এক বার হাঁচি শুরু হলে আর থামতে চায় না। এমন সময়ে কী যে করতে হবে, বোঝাও যায় না।
হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়ে- এমনটা হলে বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন, এ আর এমন কী! হাঁচি একটি এলার্জিজনিত রোগ, কারো কারো ক্ষেত্রে সামান্যতম সমস্যা হলেও কারো কারো ক্ষেত্রে হাঁচির কারণেই দুর্বিষহ জীবন। হাঁচির সঙ্গে সম্পৃক্ত রোগ হলো অ্যালার্জিক রাইনাইটিস ও অ্যাজমা। ঠান্ডা লেগে হোক, অ্যালার্জি থেকে হোক বা কোনো গন্ধের কারণে, হাঁচি খুব সাধারণ একটা বিষয়। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একবার হাঁচি শুরু হলে আর থামতেই চায় না। যেকোনো পরিস্থিতিতেই অনবরত হাঁচি দিতে থাকা সুখকর নয় নিশ্চয়ই। ঘরোয়া উপায়ে এই হাঁচিও থামাতে পারেন। জেনে নিন এমন সমস্যার ঘরোয়া সমাধান…
কী ভাবে হাঁচি থামানো যেতে পারে?
১) হাঁচি থামানোর ক্ষেত্রে খুবই কাজে লাগে মধু। প্রচণ্ড হাঁচির মধ্যেও এক চামচ মধু গলায় গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা থেমে যাবে।
২) ইউক্যালিপ্টাস তেলের গন্ধ নাকে গেলে হাঁচি থেমে যেতে পারে। হাঁচি হওয়ার প্রবণতা থাকলে রুমালে ২-৩ ফোঁটা ইউক্যালিপ্টাস তেল দিয়ে দিন। তা কিছু ক্ষণ নাকের সামনে ধরে রাখুন। হাঁচি থেমে যাবে।
৩) একটানা হাঁচি হলে জিভ দিয়ে টাকরায় টোকাও দেওয়া যেতে পারে। মুহূর্তের মধ্যে হাঁচি থেমে যাবে।
৪) সকালে উঠে ক্রমাগত হাঁচি হলে ৩-৪টি তুলসি পাতা ও এক টুকরো ছোট আদা এককাপ জলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই জলটুকু খেয়ে নিন। অনবরত হাঁচি থেকে মুক্তি মিলবে।