সেই বিখ্যাত চুলকানির মলম কৌটোতে মেলে নাকি টিউবে আজকের প্রজন্মের কেউ তার খোঁজ রাখেন তা জানি না। তবে হ্যাঁ চুলকানির সমস্যা কিন্তু আজকের প্রজন্মের কাছেও বহাল তবিয়তে উপস্থিত আছে একথা হলফ করে বলতে পারি। এবার শরীরের চুলকানি নিয়ে কথা বলা যাক। সময় পেলে চুলকানির স্বভাব নিয়ে আরেকদিন কথা বলা যাবে না হয়।
বাইরে বৃষ্টি, স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া। কেমন যেন ভ্যাপসা গন্ধ থেকে যায় জামাকাপড় কাচার পরও। একটা হালকা ভ্যাপসা গন্ধ ঘরের মধ্যেও। আর গা হাত পা চুলকানির একটা প্রবণতা দেখা যায় এরকম পরিবেশে। আবার অনেক সময় চুলকানি সৃষ্টি হয় বৃষ্টির ফলে ঠান্ডা আবহওয়ায় ত্বক শুকিয়ে গিয়েও। বর্ষায় মশা, পোকামাকড় বাড়ে চুলকানি হওয়াও সাধারণ ব্যাপার তার কামড়ে।
অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা আছে। প্রায় সময়ই ত্বক ছিলে গিয়ে রক্ত বেড়িয়ে যায় ত্বকের নির্দিষ্ট জায়গায় ক্রমাগত চুলকাতে চুলকাতে। অনেকের আবার কালো দাগও পড়ে যায় সেই জায়গায়। আরও কষ্ট ছোটো বা বয়স্কদের। তাই যে কোনও কারণেই চুলকানি হোক না কেন নখ দিয়ে না চুলকে তার বদলে ব্যবহার করতে পারেন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি। আরাম পাবেন। নষ্ট হবে না সঙ্গে ত্বকও। আর এটি ভারতীয় সম্পূর্ণরূপে
আয়ুর্বেদিক সমধান।
প্রাচীন আয়ুর্বেদ বিজ্ঞান অনুযায়ী জীবাণুনাশক মধু। খুবই গুরুত্বপূর্ণ মধুর ভূমিকা পালন ত্বকের নানা সমস্যায়। মধুর তুলনা মেলা ভার ত্বক এবং চুলকে মোলায়েম রাখতে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে নিয়মিত মধু খেলে। ভালো থাকে ত্বক। আর শরীরের যে স্থান চুলকানি হচ্ছে সেখানে মধু মলমের মতো করে মাখিয়ে দিলে ওই স্থান প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র হযে যায় এবং চুলকানি কমতে থাকে ধীরে ধীরে।
আপেল সিডার ভিনিগার
আপেল ভিনিগার ত্বক সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যায় কাজ দেয় মহৌষধির মতো। ন্যাশনাল এগজিমা অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্ট অনুযায়ী অ্যাপেল ভিনিগার বেশ কার্যকরী এগজিমা সারাতে । যদিও বেশ কয়েকটি সতর্কতা মেনে চলতে হয় এর ব্যবহারে । কারণ শরীরের অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় অতিরিক্ত অ্যাপেল ভিনিগারের ব্যবহার। সেই অতিরিক্ত অ্যাসিড যথেষ্ট ক্ষতিকর ত্বকের পক্ষে।