অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থাকার জায়গা হল প্রেসিডেন্সি জেলের ‘পয়লা বাইশ’ সেল ওয়ার্ডের দু’নম্বর সেল। পার্থর জন্য এই জেলের যে ওয়ার্ড ঠিক হয়েছে সেই ওয়ার্ডেই তার পাশের সেলে তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতো রয়েছেন। মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালানো কুখ্যাত জঙ্গি আফতাব আনসারি, জামালউদ্দিন নাসের-সহ বেশ কয়েকজন মাওবাদী নেতা ওয়ার্ডের অন্যান্য সেলের বাসিন্দাদের মধ্যে আছে।
ইডি জানিয়েছে , জেলে অন্য কোনও বিশেষ সুবিধা পার্থকে দেওয়া হয়নি এই জেলে। যে সেলে পার্থকে রাখা হয়েছে সেখানে না আছে কোনও চেয়ার না আছে কোনও খাট। রাতে জেলের মেঝেতেই কম্বল পেটে শুতে হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে। সব মিলিয়ে মোট ৪টি কম্বল দেওয়া হয়েছে পার্থকে। প্রতিদিন মেঝেতে পেতেই শুতে হবে । যদিও কোমড রয়েছে এই জেলে। রাতে প্রথমে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে পার্থকে প্রেসিডেন্সি জেলের অফিসে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁর নাম বন্দি হিসাবে এন্ট্রি হওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করেন। এরপর ‘পয়লা বাইশ’ ওয়ার্ডের দু’নম্বর সেলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে লকআপ হয়ে গিয়েছে জেলে বন্দিদের। তাই প্রতিবেশী সেলের বাসিন্দা ছত্রধরের সঙ্গে রাতে পার্থর দেখা হয়নি।
সেলে অতিরিক্ত রক্ষীর ব্যবস্থা হয়েছে পার্থর নিরাপত্তার জন্য। জেলে ইডি’র (ED) এক আধিকারিক পার্থকে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে হাজির হন। পার্থ ওষুধপত্র, জামাকাপড়-সহ যেসব জিনিস ব্যবহার করছিলেন ইডি হেফাজতে থাকার সময় তা ওই আধিকারিক জেল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন। রাতে সেলে পার্থকে রুটি ও সবজির ঘ্যাঁট খেতে দেওয়া হয়। পার্থ সেলে ঢুকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলতে থাকেন, ‘‘ কী করে থাকব এখানে?’’ রাত পর্যন্ত সেলের বাইরে থাকার অনুমতি রয়েছে কারারক্ষী ও জেলের যে সমস্ত বন্দিদের, তারা এদিন ভিড় করে পার্থকে দেখতে। এদিকে, রাতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) আলিপুর মহিলা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর জন্যও অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষীর ব্যবস্থা সেখানে হয়েছে। তাঁকে খাবার ও জল পরীক্ষা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে জেল কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশে।
উল্লেখ্য, জোকা ইএসআই হাসপাতালে শুক্রবার সকালে শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ব্যাঙ্কশাল আদালতে তাঁদের তোলা হয়। আদালত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।