হতে চেয়েছিলেন সিড ঠাকুর গাজলের মৌমিতা ঠাকুর (নাম পরিবর্তিত)। নানা ঝড়ঝাপটা বাধা হয়েছে রূপান্তরকামী পুরুষ হওয়ার ইচ্ছায়। মৌমিতা ওরফে সিড সে সব পেরিয়ে হাসপাতালেও পৌঁছেছিলেন। কিন্তু চরম মানসিক ও শারীরিক হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ সেখানে গিয়ে। তার শরীরে দ্বিতীয়বার পুরুষাঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হলেও কোনও ভাবেই সফল হয়নি। চিকিৎসকরা সোমবার অস্ত্রোপচার করে তা বাদ দেবেন। আরও একবার রূপান্তরকামীদের প্রতি অবহেলার চিত্র প্রকট হচ্ছে ঘটনায় বলে মত অনেকের।
সিড কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শুয়ে ভাবছেন, আদৌ বাঁচব তো প্রাণে? তাঁর এখনও পর্যন্ত ৩টি অস্ত্রোপচার হয়েছে। দু’দুবার পুরুষাঙ্গ তৈরি করা হয়েছে হাত ও পায়ের মাংস কেটে। কিন্তু, তা হয়েছে বিফল। সোমবার দ্বিতীয়বার তৈরি করা পুরুষাঙ্গও বাদ দেওয়া হবে। কারণ চিকিৎসকরা তাতে সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছেন। প্রথম পর্যায়ের অপারেশন হয়ে গিয়েছিল সিডের লিঙ্গ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে । দ্বিতীয় ধাপের অপারেশন পুরুষাঙ্গ তৈরি করার কথা ছিল ১৮ অগাস্ট। পুরুষাঙ্গ তৈরিও করা হয় অস্ত্রোপচারের পর। সিডের অভিযোগ, তাঁর নতুন পুরুষাঙ্গ দেখতে আসেন নার্সরা অস্ত্রোপচারের পর। প্রায় আচরণ করা হচ্ছে গিনিপিগের মতো। দ্বিতীয়বার প্রতিস্থাপন করা পুরুষাঙ্গটি সোমবার অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়া হচ্ছে। সিডের কথায়,’ অস্ত্রোপচার হয়েছে তিন-তিনটি। প্রচণ্ড লড়াই করেছি আমি। কী ঘটেছে বোঝাতে পারব না।’
আমার তরফ থেকে এক চুলও গাফিলতি আছে বলে মনে করি না ওই হাসপাতালের চিকিৎসকের দাবি। যেভাবে ১০০ শতাংশ দিয়ে চিকিৎসা করছি আর পাঁচটা রোগীকে, সেটাই এক্ষেত্রে করেছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সমস্ত অভিযোগ।