স্কুলে শিক্ষক রা ছাত্রদের পড়াশোনা শেখাতে যান, এটাই খুব স্বাভাবিক কথা। কিন্তু শিক্ষকরা স্কুলে গিয়ে তাদের করতে হয় মদের বোতল কাগজপত্র এমনকি ফেলে রাখা কনডমও। শিক্ষকদের প্রায় প্রতিদিনই এমন অবস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আরতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। হুগলির পান্ডুয়া থানার অন্তর্গত আরতি গ্রামের একেবারে শেষের দিকে ওই বিদ্যালয়টি অবস্থিত । সম্পূর্ণ ফাঁকা মাঠের উপরে স্কুলটি রয়েছে । সকাল দশটা থেকে শুরু হয় । বিকেল চারটে অব্দি চলতে থাকে । বিকেল চারটে স্কুল বন্ধ হওয়ার পর ওই এলাকা জুড়ে যত রকম অসামাজিক কাণ্ডকারখানা চলতে থাকে । স্কুলের ছাদের থেকে ক্লাসরুমে মুখ স্কুল চত্বরে বসে দিদার মদের আড্ডা । মাঝেমধ্যে ব্যবহার করার কনডম খুঁজে পেয়েছেন শিক্ষকরা । তাই ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্কুলে এসেই প্রথম কাজ হলো মাঠ পরিষ্কার করা, স্কুল চত্বর পরিষ্কার করে এবং ছাদে ফেলে রাখা মদের বোতল কনডম এগুলো সরিয়ে ফেলা।
![](https://dainiksangbad.com/wp-content/uploads/2022/07/IMG-20220709-WA0017.jpg)
শিক্ষকরা অভিযোগ জানিয়েছেন যে এলাকাতে প্রচন্ড নির্জন এবং স্কুল ওই নির্জন এলাকায় হওয়ায় যত রকম অসামাজিক মানুষ আছেন তাদের এটা এক নিরাপদ আস্তানা হয়ে দাঁড়িয়েছে । স্কুলের চারপাশে কোন পাঁচিল নেই । সেই কারণেই একটু অন্ধকার নামলেই সন্ধ্যেবেলা থেকে শুরু করে ভোর অব্দি চলে অসামাজিক লোকজনের আনাগোনা । স্কুলে মোট 105 জন পড়ুয়া রয়েছে । শিক্ষক রয়েছেন মোট তিনজন । দিনের বেলা স্কুল চলাকালীন পড়াশোনা ঠিকঠাকই চলে । কিন্তু এরপর যখনই সন্ধ্যে হয় তখন এই অসামাজিক কাজ শুরু হয়। স্কুলের চারধারে পাঠকদের জন্য বহুবার আবেদন জানিয়েছেন । এই মুহূর্তে সকলে তাদের দাবি মেনে নিলেও শেষ অব্দি কোন ভাবে কার্যকর হয়নি স্কুলের সীমানা করা বা পাচিল দেওয়া ।
যদিও সে এলাকার ব্লক শিক্ষা কর্মধক্ষ্যের মতে প্রচুর স্কুলে পাঁচিল দেওয়ার কাজ চলছে । আরতী স্কুলেও পাঁচিল দেয়ার কাজ চলবে কিন্তু কয়েকদিন সময় লাগবে । কিন্তু এখানে সবারই প্রশ্ন উঠছে যে এতবছর কেন পাঁচিল দেয়া হয়নি ওই স্কুলে যেখানে এখন সমাজবিরোধীদের অবাধ বিচরণ লেগে আছে সেখানে পাঁচিলে নেই কেন? নিহতের দাবি স্কুলটি গ্রামের একেবারে শেষ প্রান্তরে মাঠের উপরে তাই জন্য মানুষের আনাগোনা সেভাবে নেই তাই এই অসমাজিক মানুষদের আনাগোনা বেড়ে গেছে এবং স্কুলে নেই পাঁচিল। সমাজ বিরোধীদের এটা বিরাট সুযোগ হয়ে গেছে যে এই স্কুলে এসে বিভিন্ন রকম অসামাজিক কাজ তারা করতে পারছে।
স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন মদের বোতল ফেলে তাদের নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে । পুলিশ আসে মাঝে মধ্যে মোবাইল চেকিং করতে । অসামাজিক কাজ করা সমাজবিরোধীদের প্রতি কোন রকম ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। স্কুলের ও ক্ষতি হচ্ছে প্রচন্ড হারে, ফুলের ফ্যান থেকে শুরু করে বাথরুমের কমোড বাথরুমের দরজা সব ভেঙেচুরে রেখে দিচ্ছে এই সমাজ বিরোধী দল।
তথ্য সূত্র: জী ২৪ ঘণ্টা