বেশ কিছুদিন ধরেই বিষয়টি চোখে পরছিলো স্থানীয়দের। তারা অনেকবার আপত্তি ও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও শিক্ষকের বাড়িতে দিনে রাতে অচেনা মানুষ ঢোকা বন্ধ হয়নি। তিন তলা একটি বিলাসবহুল বাড়ি। মাঝেমধ্যেই দেখা যেত অল্প বয়সী যুবক-যুবতী থেকে মাঝবয়সী ব্যক্তি অনেকেই আসছেন ঐ বাড়িতে। কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে যে যার মতন বেরিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি মাঝেমধ্যেই গৃহবধূদের আসতে দেখা যেত সেই বাড়িতে। ব্যাপারটা প্রায় প্রতিদিনের হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রহস্যে ঘেরা ওই বাড়িতে মধুচক্রের আসর বসে এমনটাই ধারণা ছিল প্রতিবেশীদের। কিন্তু বাড়িটি ছিল এক শিক্ষকের। এলাকায় তার প্রভাব প্রতিপত্তি ও কম নয়। তাই সামনা সামনি কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি বহুদিন। শেষে পুলিশ কে সাথে নিয়ে একদিন স্থানীয়রা ওই বাড়িতে হানা দিলেই সামনে আসে আসল সত্যটা। ওই বাড়ির ভেতরের একটি ঘরেই ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় দেখা মেলে দুই তরুণ-তরুণীর। তারা কি প্রয়োজনে এখানে জিজ্ঞাসা করতেই জানা যায় নানা তথ্য।
Zee ২৪ ঘন্টায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানা গেছে বনামালীপুর গ্রামের একটি বাড়িতে ওই মধুচক্রের ব্যবসা পেতে বসে ছিলেন আব্দুল মতিন নামে এক ব্যক্তি। পেশায় তিনি ভাঙড়ের এক স্কুল শিক্ষক। তার নিজস্ব তিনতলা বাড়ির দিকে তিনি একটি হোটেলের মতন ব্যবহার করতেন। বাড়ির ভেতরে হোটেলের মতনই রুম নাম্বার দিয়ে একাধিক রুম রাখা হয়েছিল। ওই বাড়িতে পাঁচশ টাকা থেকে হাজার টাকার বিনিময়ে খুব সহজেই যে কেউ ঘর ভাড়া নিতে পারতো। দরকার ছিল না কোনো পরিচয় পত্র বা অন্য কোন নথিরও।
এলাকাবাসীর অভিযোগ কিভাবে একটি পারিবারিক এলাকায় এইভাবে নিজের বাড়িতে কেউ ব্যবসা চালাতে পারে। তাদের আরও অভিযোগ পুলিশের কাছে বারবার নেয়নি পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেই নি। এরপর এলাকাবাসীরা কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিসকে সাথে নিয়ে গিয়ে ওই বাড়িটিতে হানা দেয়। বাড়িতে খোঁজ চালাতেই একটি ঘর থেকে ‘অসংলগ্ন’ অবস্থায় এক গৃহবধূ ও আরেক এক ব্যক্তি ধরা পড়ে। রাজনৈতিক প্রভাবে পুলিশ এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি মনে করেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা এই ব্যাপারে গত নভেম্বরে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। এরপরে ভাঙড়-২ ব্লকের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। এই বাড়ির মালিক যে শিক্ষক তার কাছ থেকে এখনও কোনও রকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি।