মাঝে মাঝেই মাথা দপদপ, রগের দু’পাশ ধরে হচ্ছে যন্ত্রণা, মাথা-ঘাড় জুড়ে ব্যথা। সাথে হচ্ছে গা বমি বমি ভাব। মাইগ্রেন বা সাইনাসের সমস্যা থাকলে তো এরকম যন্ত্রণা হয় বটেই কিন্তু এই সব সমস্যা না থাকলেও মাথার যন্ত্রণায় ভোগেন এমন মানুষের সংখ্যা খুব একটা কম নয়। কিন্তু মাথাযন্ত্রণা হলেই ওষুধ খেয়ে নেওয়া কোনো সমাধান নয়। ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লে তা যে শুধু শরীরে বয়ে আনে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তাই নয় , পাশাপাশি অনেকে ক্ষেত্রে মাথা যন্ত্রণার সমস্যা আরও বেশি করে সৃষ্টি করে। তাই মাথা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে এমন কিছু ঘরোয়া টোটকা ব্যাবহার করে দেখুন যাতে অল্প সময়ে সমস্যার সমাধানও করা সম্ভব হবে আবার মিলবে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে সুরক্ষা। জেনে নিন কীভাবে। তবে মাথা যন্ত্রণার সমস্যার দীর্ঘ সময় চললে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আকুপ্রেশার পদ্ধতি:
দীর্ঘ সময় ধরেই মাথা ব্যথা দূর করতে আকুপ্রেশার পদ্ধতির ব্যবহার করে আসছেন বহু মানুষ। বাঁ হাতের বুড়ো আঙ্গুল আর তর্জনির মাঝ বরাবর অপর হাতের বুড়ো আঙ্গুল ও তর্জনি দিয়ে চাপ দিয়ে ম্যাসাজ করুন। একই ভাবে ডান হাতেও ম্যাসাজ করুন। এই পদ্ধতিতে অল্প সময়ের মধ্যেই মাথা ব্যথা দূর করতে পারেন।
জল পান করে:
শরীরে জলের অভাব হলেও মাথা যন্ত্রণা হয় তাই এই সময়ে জল পান করলেও মাথাব্যথায় উপকার মেলে। যখন আমাদের শরীর জলের অভাব পূর্ন হতে থাকে তখনই মাথা ব্যথা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
আদা:
আদা মাথাযন্ত্রণা উপশমে বেশ কার্যকরী। মাথাযন্ত্রণা করলে এক টুকরো আদা নিয়ে ভাল করে চিবিয়ে খেয়ে নিন। দেখবেন মাথা যন্ত্রণায় আরাম মিলবে।
অন্ধকার ঘরে বিশ্রাম:
মাথা যন্ত্রণার বেশি বাড়বাড়ি হলে সেই সময় কাজের মধ্যে থাকবেন না। চেষ্টা করুন অন্ধকার ঘরে চোখ বুজে বসে বা শুয়ে থাকার। নার্ভ কে রিলাক্স করতে শুনতে পারেন পছন্দের গান শুনতে।
আইসব্যাগ:
বাজারে কিনতে পাওয়া যায় আইসব্যাগ। তেমন একটি আইসব্যাগে বরফ নিয়ে তা মাথার তালুতে খানিকক্ষণ ধরে চেপে রাখুন। মাথা যন্ত্রণার উপশম হচ্ছে। তবে যাদের ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা আছে তারা এই পদ্ধতি এড়িয়ে যান।