এইচআইভি ভাইরাস (HIV) এই বিশ্বের দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্কের আরেক নাম ।
কিছুতেই মেলেনি সঠিক প্রতিষেধক বহু গবেষণার পরও । তবে এবার সম্ভবত সোনালি রেখা দেখতে পাচ্ছেন গবেষকরা সাফল্যের । তাঁদের দাবি, এই টিকার সাফল্যের হার ৯৭ শতাংশ এইচআইভি রুখতে তৈরি এই টিকা ।
হিউম্যান ট্রায়াল চলছে নতুন এই টিকার । আর তাতে দেখা গিয়েছে, অত্যন্ত বিরল প্রতিরোধী কোষগুচ্ছকে জাগিয়ে তুলতে সক্ষম সেটি মানব শরীরে । মানুষের শরীরে এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে এই কোষগুলি, বলেই দাবি। গত শতকের আটের দশকের প্রথম থেকেই প্রায় অতিমারীর আকার ধারণ করে এইডস (AIDS) সৃষ্টিকারী এইচআইভি ভাইরাস । সেই সময় থেকেই বিজ্ঞানীরা গবেষণা শুরু করেন মারণ ভাইরাস থেকে অব্যাহতি পেতে । কিন্তু গবেষণার সাফল্যের অন্তরাল হয়ে দাঁড়ায় ভাইরাসটির অসংখ্য স্ট্রেন । অবশেষে সাফল্যের ইঙ্গিত মিলল ।
আসলে শরীরে অনুপ্রবেশকারী ভাইরাসকে প্রতিহত করার দায়িত্ব অ্যান্টিবডি প্রোটিনগুলির। অ্যান্টিবডি প্রোটিনকে অনায়াসে বোকা বানায় এইচআইভি ভাইরাস । কেননা দ্রুত রূপ বদলে ফেলতে সক্ষম তারা । তাদের চিনে উঠতে পারে না আর তার ফলে অ্যান্টিবডি প্রোটিন । সেই কাজেই তাদের নয়া টিকা সাহায্য করবে। যার ফলে তার উপরে হামলা চালাতে পারবে সেগুলি ভাইরাসকে চিনে নিয়ে ।
আমেরিকার সান দিয়েগোর ‘স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ ও অলাভজনক সংস্থা আইভিআইয়ের বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন এই টিকা।
বুধবার স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়েছে প্রথম দফায় ৪৮ জনের উপরে ওই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে বলে । পরে গবেষণার ফলাফল এক ভারচুয়াল সম্মেলনে ঘোষণা করা হয় । সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয়, ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে এই গবেষণা। যে ‘মেসেঞ্জার এমআরএনএ’ প্রযুক্তি ফাইজার অথবা ফাইজার সংস্থা কোভিড ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে সেটাই এক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞ দের মতে এই টিকা আবিস্কার এই শতকের মধ্যে সব থেকে বেশি গুরুত্ব অধিকারী আবিস্কার । যথাযত প্রক্রিয়ায় শুরু হবে এই টিকা দেওয়া ।