উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ জর্জটাউন এলাকায় একজন মুদি দোকান চালান এমন এক দোকানদারকে তার ধার দেওয়া জিনিস পত্রের বিনিময়ে টাকা চাইলে চূড়ান্ত হেনস্থা ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। এমনকি তাকে বোমা নিয়ে হামলাও করা হয়। জানা গিয়েছে এক যুবক সাধারণ ব্যবসায়ীর দোকানে কিছু জিনিসপত্র কিনতে আসেন। দোকানে বসে থাকা দোকানদার কিছু জিনিসপত্রের বিনিময়ে টাকা চাইলেন, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই যুবক। সামান্য কথা কাটাকাটির পর ওই যুবকটি চলে গেলেও কিছুক্ষণ পর অনেক ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে আবার দোকানদারের কাছে পৌঁছায়।
এরপরই দোকানদারের উপর চড়াও হয়ে তাকে মারধর করে ও দোকানে বোমা মেরে ঘটনাস্থল থেকে সবাই পালিয়ে যায়। বোমার আঘাতে দোকানে বসা দোকানদারের শরীরে ছিটকে পড়ে। দোকানদার গুরুতর আহত হন। তাই তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই দোকানদার থানায় অভিযোগ করেছেন।
ধার করা টাকা চাওয়ার নাকি এই বোমা হামলা।
প্রয়াগরাজের জর্জটাউন এলাকার মেডিকেল মোড়ের কাছে পঙ্কজ সোনকারের একটি সাধারণ ব্যবসায়ীর দোকান রয়েছে। এই দোকানে খাবার ও পানীয় জাতীয় জিনিস বিক্রি হয়। শুক্রবার বিকেলে এক যুবক এই দোকানে জিনিসপত্র কিনতে এসে টাকা না দিয়েই জিনিস নিতে শুরু করে। দোকানে বসে থাকা পঙ্কজ সোনকারের ভাগ্নে যুবকের কাছে জিনিসপত্রের বিনিময়ে টাকা চাইলে ওই যুবক কথা কাটাকাটি করে।
এ সময় ওই যুবক চলে গেলেও কিছুক্ষণ পর তার অনেক সঙ্গী দোকানে পৌঁছে দোকানদারকে মারধর করে। তার এক সহযোগী দোকানে বোমা ছুড়ে মারে। দোকানে বসে থাকা অতীন সোনকার ছুড়ে মারা বোমার আঘাতে আহত হন। ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দোকানদার পঙ্কজ সোনকার জানান, অনেক যুবক প্রতিদিন ধারে জিনিসপত্র নিয়ে যেত, যার টাকা তারা দেয় না, টাকা চাইলে তারা সবাই মারামারি করে। আজও একই ঘটনা ঘটেছে। খরিদ্দারী করা মালের টাকা চাওয়া হলে দোকানে বোমা দিয়ে হামলা করা হয়।
সিসিটিভিতে ধরা পড়ল ঘটনা:
এই ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে এই বোমা হামলার দৃশ্য ধরা পড়েছে দোকানের পাশে নির্মিত মডেল দোকানের সিসিটিভিতে। এখন সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবকদের খোঁজ করছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবকদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন দোকানদার। তিনি পুলিশের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।