বিহারের গয়ায় প্রেমের নামে এমন লজ্জাজনক কাজ করলেন এক ব্যক্তি, যা শুনলে অবাক হয়ে যেতে হয়। চার সন্তানের বাবা হয়ে যাওয়া এক ব্যাক্তি প্রথমে এক তরুণীকে নিজের প্রেমের ফাঁদে ফেলে পরে মেয়েটিকে কল গার্ল বানিয়ে ফেলেন। এই কুকর্ম তিনি কিভাবে করছেন জানলে শিউরে উঠতে হয়। জানুন পুরো বিষয়টা..
তরুনীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় অভিযুক্ত ব্যক্তি। এই সময় অভিযুক্ত ওই মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও রেকর্ড করে প্রেমিকাকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। শুধু এই অবধি করেই থেমে না থেকে বান্ধবীকে কল গার্ল বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় ওই ব্যাক্তি। এরপর অভিযুক্ত ব্যাক্তি ওই তরুণীকে ভয় দেখিয়ে দেহব্যবসায় নামিয়ে দেয় এবং টাকা নিয়ে ওই তরুণীকে অন্যান্য শহর যেমন পাটনা, রাঁচি ও মুম্বাইতে পাঠাতে থাকে।
ঘটনাটি গয়ার ইমামগঞ্জ থানা এলাকার এক তরুণীর। মোহাম্মদ আইয়ুব খান নামের এক ব্যক্তির প্রেমের জালে জড়িয়ে পড়ে মেয়েটি। এরপর যত সময় যায় সে মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে নিজের বন্ধুদের কাছে পাঠাতে থাকে এবং বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করতে থাকে।
নির্যাতিতা জানান, প্রেমে প্রতারিত হয়ে পতিতাবৃত্তির ফাঁদে পড়ে কোনোমতে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর পরে তিনি অন্য একজন যুবককে বিয়ে করেছিলেন এবং সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, তবে তার প্রাক্তন প্রেমিক তার হিংসা ভোলেননি। সেই ব্যাক্তি আবার নির্যাতিতা তরুণীকে আবার দেহব্যবসা করার হুমকি দিতে থাকে এবং স্বামীর কাছে ভিডিও পাঠানোর নামে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে। মেয়েটি তার কথা মতন কাজ করতে অস্বীকার করলে অভিযুক্ত তার অশ্লীল ছবি ওই মহিলার স্বামীর কাছে পাঠায়।
এর পরে নির্যাতিতা মেয়েটি তার প্রাক্তন প্রেমিকের হাত থেকে মুক্তি পেতে ইমামগঞ্জের মহিলা থানায় যায় এবং এসএসপি অফিসে অভিযোগও দায়ের করে। এটা জানতে পেরে অভিযুক্ত চুপ করে বসে না থেকে ক্রমাগত তরুণী ও তার স্বামীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। অভিযুক্ত প্রেমিক চেয়েছিলেন মেয়েটির বিয়ে ভেঙে যাক।
এরপর প্রতারক ব্যাক্তি কে উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েটি। পরিকল্পনা মতন, তিনি তাকে ডেকে গয়ায় আসতে বলেন। ওই ব্যক্তি তাকে গয়ার পরিবর্তে বোধগয়ার একটি হোটেলে ডেকেছিল। মেয়েটি রাজি হয়ে যায় এবং হোটেলে যাওয়ার আগে কয়েকজনকে পুরো বিষয়টি জানায়। এর পরে নির্যাতিতা মেয়েটি বোধগয়ার হোটেলে পৌঁছে অভিযুক্তকে একটি বন্ধ ঘরে আটকে ফেলে। মেয়েটির পক্ষ নিয়ে হোটেলে আগে থেকেই কয়েকজন উপস্থিত থাকায় সকলে মিলে অভিযুক্তকে মারধরও করে। এরপর অভিযুক্তকে বোধগয়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন নির্যাতিতা মহিলা।