সময় মাত্র ২ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড , আর তার মধ্যেই প্রখর স্মরণ শক্তির পরিচয় দিল পাঁচ বছরের সোয়েতা দত্ত। এই সামান্য সময়ের মধ্যে মোট ১১১ টি পাখির নাম বলে ফেলে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ড (India Book of Records) -এ নাম তুলল চন্দ্রকোনার খুদে। এই ছোট্ট বয়সে তার এই কৃতিত্ব কে ঘিরে উচ্ছ্বসিত তার পরিবার , পাড়া প্রতিবেশী সকলেই।
ছোট্ট সোয়েতা দত্তর বয়স মাত্র পাঁচ বছর চার মাস। চন্দ্রকোনা দু নম্বর ব্লকের চন্দ্রকোনা পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের জয়ন্তীপুরের বাসিন্দা সোয়েতা। বর্তমানের সোয়েতা ওই শহরেরই জানা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে সিনিয়ার কেজি ক্লাসের ছাত্রী। চন্দ্রকোণার (Chandrakona) তার বাবা অভিজিৎ দত্ত পেশায় চন্দ্রকোণা শহরের মোল্লেশ্বরপুর সারদা বিদ্যাপীঠের অঙ্কের শিক্ষক। সোয়েতার মা সুদেস্না দত্ত গৃহবধূ। তারা জানায় ছোটো থেকেই সোয়েতার স্মৃতি শক্তি খুব ভালো। বাড়ির ছাদে , কিংবা বাড়ির আসে পাশের গাছে নানান রকমের পাখি এসে বসতো। অভিজিৎ বাবু এবং তার স্ত্রী ছোট্ট সোয়েতাকে চেনাতেন সেই সব পাখিদের। কিন্তু তারা অবাক হতেন এটা দেখে এক রত্তি মেয়ে তাদের অনায়াসেই মনে রেখে দিত প্রত্যেকটি পাখির নাম। মেয়ের স্মৃতিশক্তি ক্ষমতা যে সাধারণের থেকে অনেকটাই বেশী তা বুঝেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে মেয়ের নাম লিখিয়েছিলেন অভিজিৎ বাবু। প্রাথমিক ভাবে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের একটি পরীক্ষার পরে চূড়ান্ত পর্যায়ের জন্য মনোনীত হয়ে যায় সোয়েতা। জুন মাসের ১০ তারিখ পরীক্ষা হয় তার স্মৃতি শক্তির। এরপরই এই খুদের কীর্তির স্বীকৃতি স্বরূপ গত ১২ জুলাই সোয়েতার পুরস্কারটি অভিজিৎ বাবুদের বাড়িতে পৌঁছায়।
সোয়েতা যে এই সামান্য সময়ে একসঙ্গে এতগুলি ভিন্ন প্রজাতির পাখির নাম মনে করে বলতে পারে শুধু তাই নয়, সাথে সাথে যে প্রত্যেকটি পাখি দেখে তার আলাদা করে শনাক্ত পর্যন্ত করতে পারে। শুধু স্মৃতিশক্তিতেই নয় পাঁচ বছরের সোয়েতা ছবি আঁকা, গানে, আবৃত্তি এবং নাচ করতেও পারদর্শী। সোয়েতার পুরস্কার বাড়িতে এসে পৌঁছানোয় তার বাবা , মা এবং ঠাকুমা ভীষণ আনন্দিত। তাকে ঘিরে আগ্রহ চন্দ্রকোনা টাউনের মানুষ থেকে শুরু করে মিডিয়া সকলের। তার সাফল্যে গর্বিত সারা চন্দ্রকোনা বাসি। তাদের আশা আগামি দিনে আরও কীর্তির সাক্ষী রাখবে সোয়েতা