তামিলনাড়ুতে অত্যন্ত দুঃখজনক এক ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ১৪ জনের। নেভি, আর্মি, বায়ুসেনার প্রধান বিপিন রাওয়াতকে নিয়ে তামিলনাড়ুর নীলগিরির জঙ্গলে ভেঙে পড়ল ভারতীয় বায়ুসেনার এমআই- ১৭ভি ফাইভ হেলিকপ্টার (Mi-17V5 হেলিকপ্টার)৷ তামিলনাড়ুর কুন্নুর থেকে সুলুর যাওয়ার পথে গন্তব্যস্থলের মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে ভেঙ্গে পড়ে বিমান।
রাশিয়ায় তৈরি এমআই-১৭ভি ফাইভ (MI-17V5 Helicopter) মডেলের এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর থেকেই চর্চায়৷ এই কপ্টারের কি কি বিশেষত্ব?
এই Mi-17V5 কপ্টার যে কোনও আবহাওয়ায় উড়তে সক্ষম। এই কপ্টারটির সেনাবাহিনীর ট্রান্সপোর্ট কপ্টার হিসেবে বেশ সুখ্যাতি রয়েছে। বাহিনী, অস্ত্র পরিবহণ, আগুন নেভানো, নজরদারি এবং উদ্ধার অভিযানে রাশিয়ায় তৈরি এমআই-৫ হেলিকপ্টার ব্যবহৃত হয়৷ এমআই-১৭ভি ফাইভ (MI-17V5 Helicopter) মডেলের এই কপ্টার এমআই-৫-এরই একটি ভার্সন৷ যা ব্যবহার করা হয় যাত্রী পরিবহণেও৷ সামরিক ক্ষেত্রে পরিবহণের জন্য এই হেলিকপ্টারকে বিশ্বের অন্যতম অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার হিসেবেই গণ্য করা হয়৷
• সেনা জওয়ান, মালপত্র, যন্ত্রপাতি পরিবহণের কাজে ব্যবহার করা হয় রাশিয়ায় তৈরি Mi-17V5 কপ্টারটি।
• মালপত্র ঝুলিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় Mi-17V5 কপ্টারটির বাইরে।
• এয়ার ড্রপ হল সেনাবাহিনীর এই কপ্টারটির প্রধান কাজ। আহতদের তুলে আনা এবং মাটিতে শত্রুকে আক্রমণ করা এই হেলিকপ্টার এর প্রধান কাজ।
• রকেট, কামান ও ছোট অস্ত্র Mi-17V5 কপ্টারে বহন করা যায়।
• অপারেশন চালাতে পারে Mi-17V5 রাত, দিন যে কোনও সময়ে।
• উড়তে সক্ষম মরুভূমি সহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ এবং পরিস্থিতিতে৷ উড়ে যেতে পারে সামুদ্রিক দুর্যোগের মধ্যেও।
রাশিয়ান সংস্থা রোজোবোরোনএক্সপোর্টের আশিটি এমআই-১৭ভি ফাইভ কপ্টার সরবরাহের জন্য ২০০৮ সালে ভারত সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়৷ এই হেলিকপ্টারগুলি ভারতের হাতে ২০১৩ সালের মধ্যে তুলে দেওয়া হয়৷ এর পর ফের নতুন করে আরও ৭১টি এমআই-১৭ভি ফাইভ কপ্টারের জন্য চুক্তি হয়৷