ইউরোপ ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত। জার্মানি-বেলজিয়ামে মৃত্যুর মিছিল। ভয়াবহ বন্যায় ইউরোপের চেহারা পাল্টে গিয়েছে । পশ্চিম ইউরোপ-এ নজিরবিহীন বন্যা, জার্মানিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা। মৃত ১৭০ এখনও অবধি। এর মধ্যে জার্মানিতে ১৩৩ জনই মারা গিয়েছেন । এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ বলে জানা গিয়েছে। উত্তর পশ্চিম ইউরোপ জুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে বেলজিয়াম, লাক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস এবং সুইৎজারল্যান্ডের মত কয়েকটি দেশ জুড়ে জার্মানি ছাড়াও এই বন্যা দেখা দেয়।
জার্মানি ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। এমন বন্যা ও প্রাণহানি ওই অঞ্চলে কয়েক দশকের মধ্যে দেখা যায়নি। সাধারণ মানুষ বন্যার কোনও পূর্বাভাস না থাকায় এই বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাননি । এই কারণে আরও বেশি বিধ্বংসী আকার ধারণ করেছে এই বন্যা। জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন ইউরোপের নেতারা এ দুর্যোগের জন্য ।
প্রায় ১৩০০ লোকের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় আরভাইলার জেলার কর্মকর্তারা বলছেন। প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে শুল্ড নামে একটি গ্রাম। গতকালও জার্মানির একাধিক অঞ্চলে হড়পা বান ও নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে বাড়িঘর ডুবেছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত। জলমগ্ন হয়ে বেশ কিছু এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে রাস্তাঘাট । ছবিতে দেখা গিয়েছে রাস্তা নদীতে পরিণত হয়েছিল যেন। প্রবল গতিতে শহর ডুবিয়ে গিয়েছিল বন্যার জল। সেই পরিস্থিতি ভয়াবহ। জার্মানি সরকারের থেকে গত ছয় দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
জার্মানির পাশে বেলজিয়ামের পরিস্থিতিও ভয়ঙ্কর। সেখানে লাফিয়ে বাড়ছে বন্যায় মৃতের সংখ্যা। ২০ থেকে হঠাৎ করেই ২৩-এ পৌঁছে গিয়েছে বন্যায় মৃত্যু। একাধিক জায়গা এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বেলজিয়ামে এখনও বিদ্যুৎ ছাড়া বাস করছেন ২১ হাজার মানুষ । একদিনের শোক দিবস ঘোষণা করেছেন বেলজিয়ামের প্রাইম মিনিস্টার আলেকজান্ডার ডি ক্রো। সেনা নামানো হয়েছে উদ্ধার কাজে। সুইৎজারল্যান্ডও ক্ষতিগ্রস্থ।
বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বহুদিন আগেই যে জলবায়ু পরিবর্তন তৈরি হচ্ছে। এই বন্যা কি তার ফলেই। পরিবেশবিদরা চিন্তায়।