ইনস্টাগ্রাম অ্যাপে মহিলাদের অশ্লীল ছবি পোস্ট করার জন্য দিল্লি সাইবার সেল এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তের নাম মোহিত শর্মা। তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং বর্তমানে গুগলে কাজ করেন। অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার করা ল্যাপটপের ফরেনসিক পরীক্ষায় এই সব অশ্লীল ছবির খোঁজ পেয়েছে পুলিশ যেগুলি সে ইনস্টাগ্রামে আপলোড করেছিল।
দিল্লি পুলিশের IFSO-এর ডিসিপি কেপিএস মালহোত্রার মতে, এক মহিলা সাইবার সেলের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। তিনি জানান, কেউ একজন ইনস্টাগ্রামে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছে। যাতে তিনি সেই নারীর অশ্লীল ছবি আপলোড করেছেন, এর সঙ্গে ওই নারীকে তার আরেকটি ছবি আপলোড করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন।
পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেছে:
প্রাথমিক তদন্তের পর এ বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের সময়, এর ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট সনাক্ত করা হয়েছিল, ইনস্টাগ্রাম এবং হটমেইল থেকে আইপি অ্যাড্রেসগুলি সনাক্ত করা হয়েছিল। এর থেকে পুলিশ জানতে পারে নয়ডার বাড়ির ভিতরে লাগানো ওয়াইফাই থেকে একটি ভুয়ো ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুলিশকে জানায় তার ওয়াইফাই হ্যাক করে অন্য কেউ এই কাজ করেছে।
পুলিশ তার ল্যাপটপ ও মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে তদন্তে নামে। তাদের মধ্যে কোনও সন্দেহজনক তথ্য পাওয়া যায়নি, তাই সেগুলির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছিল। ফরেনসিক তদন্তে, মহিলাদের হাজার হাজার অশ্লীল ছবি পাওয়া গেছে, যা তিনি ল্যাপটপ থেকে ডিলিট করে ফেলেছিলেন।
আসলে সম্প্রতি, একজন নাবালিকা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন যে তার সাথে কোনো একজন অজ্ঞাত ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর তরফে তার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল যার কাছে তার মুখ ছাড়া অশ্লীল ছবি ছিল, তিনি তাঁকে সেগুলি দেখিয়েও ছিল। তিনি নিজেকে এক রাশিয়ান ম্যাগাজিনের সম্পাদক হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন। অভিযুক্ত ওই নাবালিকার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এই সমস্ত ছবি পাঠিয়েছিলেন। সাথে সাথে এই সমস্ত ছবিগুলি তার কয়েকজন বন্ধু ও আত্মীয়কেও পাঠানো হয়েছিল। এই বিষয়ে পকসো আইনে এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলার তদন্তে নেমেই মোহিত শর্মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরো তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে যে সাইবার সেল নয়ডাও তাকে ঘিরে এমন একটি কেসে তদন্ত করছে।