ভারত সরকারের সদিচ্ছা থাকলেই আগামী ২-৩ মাসে সকলকে টিকা দিতে পারে। এখনও অবধি যতজনের টিকা বাকি আছে প্রত্যেক কে টিকা দিতে খরচ হবে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। যা ভারতের মতন একটি দেশের পক্ষে খুব বিশাল কোনও ব্যাপার নয়। এমন মতই দিয়েছিলেন প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাঃ দেবী শেঠি (Dr. Devi Shetty)। তাই তিনি দ্রুত টিকাকরণের পক্ষেও সওয়াল করলেন। জানালেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে শিশুদের। আর সেই জন্যই প্রত্যেক পূর্ণ বয়স্কের জন্যে যত দ্রুত সম্ভব, ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বেঙ্গালুরু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডক্টর. রবি পূর্বাভাস দিয়েছিলেন এদেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ এসে পড়লে তা শিশুদের জন্য ভীষণ ক্ষতিকারক হতে পারে। সেই আশঙ্কাকার পক্ষেই সায় দিয়েছেন ডা. দেবী শেঠি। তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য মহারাষ্ট্র সরকার একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। আমি অতিমারী বিশেষজ্ঞ না হলেও আমার সাধারণ বুদ্ধি বলে, এই পদক্ষেপ সঠিক।” অর্থাৎ আগাম আস্তে চলা সংক্রমনের তৃতীয় ঢেউ থেকে শিশুদের রক্ষাই যে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে, তেমনটাই বলতে চাইলেন তিনি।
কিন্তু যেটা ভাবাচ্ছে এমন কেন মনে করা হচ্ছে যে, তৃতীয় ঢেউয়ে বাচ্চাদের উপরই বেশি প্রভাব পড়বে। এর জবাবে ডা. দেবী শেঠি জানান, “করোনা (Corona Virus) চরিত্র বদলে আরও বেশি করে সংক্রমণ ছড়ানোর চেষ্টা করছে। প্রথম ঢেউয়ে এর মূল লক্ষ্য ছিল প্রবীণ ও প্রাপ্তবয়স্করা। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই অল্প বয়সীদের উপর বিস্তৃত হয়েছে। আর তৃতীয় ঢেউ শিশুদের উপরই প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা বেশি। কারণ অধিকাংশ বয়স্করা ততক্ষণে আক্রান্ত হয়ে শরীরে অ্যান্টিবডিও তৈরি করে ফেলেছেন।” ১২ বছরের থেকে কম যাদের বয়স সেই সব শিশুরা এক্ষেত্রে বেশি ভুগতে পারে। সাধারণত বাড়ির বড় দের থেকেই তাদের সংক্রমিত হওয়ার বেশী সম্ভবনা রয়েছে। তাই ডা. দেবী শেঠির পরামর্শ, বাচ্চাদের অভিভাবকদের দ্রুত কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হোক। তাহলে শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা কমানো সম্ভব।