চূড়ান্ত অমানবিকতা, নৃশংস অত্যাচারও বললেও কম বলা হবে। সেরকমই ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থাকল খড়্গপুর। অভিযোগ, একটি পথকুকুরের গায়ে বাজি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তার জেরে উড়ে গিয়েছে কুকুরের পিছনের একটি পা’র প্রায় অর্ধেক অংশ। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লেজও। আপাতত কুকুরটির অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সেই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে ন’জনকে।
দীপাবলির আগের রাতে ওই কুকুরের বিষয়ে খোঁজ মেলে। খড়্গপুরের একটি পশুপ্রেমী সংস্থার কাছে খবর যায় যে একটি পথকুকুরের অবস্থা সংকটজনক। খবর পেয়ে দ্রুত খরিদা গুরুদ্বার এলাকায় যান খড়্গপুরের পশুপ্রেমী সংস্থার প্রতিনিধি। কুকুরটিকে উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার অস্ত্রোপচার করা হয় কুকুরটির। আপাতত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে সে। ইতিমধ্যে সেই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে অভিযোগপত্রে নির্দিষ্ট কারও নাম করা হয়নি। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কুকুরটির চিকিৎসা চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
সেই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো নিন্দার ঝড় উঠেছে। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র ফেসবুকে লেখেন, ‘খড়্গপুরে পশুদের উপর নৃশংসতার আরও একটি ঘটনা ঘটল। দীপাবলির সময় মানুষের আনন্দের কারণে একটি পথকুকুর পা হারাল। মানুষকে মজা দিতে কুকুরের পায়ে বাজি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল এবং জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাহ! দারুণ! বাহ! যদি কোনও কুকুরের অভিভাবক অপরাধীকে মারধর করে তাহলে কি তা আইনবিরোধী কার্যকলাপ বা গণধোলাই হিসেবে বিবেচনা করতে পারবে অপরাধী? যারা পশুদের উপর নৃশংস অত্যাচার করে, তাদের কিছু হবে না। ’