একটি ছোট শব্দ চুমু হলেও কিস বা চুম্বনেরও আলাদা আলাদা পরিচয় রয়েছে। কখনও সব দূরত্ব একটা চুমুতে ঘুচে যায়। সম্পর্কের গভীরতা বদলে যায়। জীবনের অত্যন্ত মধুর এক অভিজ্ঞতা হল চুমু। তবে চুমুর ধরন বদলে যায় সম্পর্ক অনুযায়ী। কোনো চুম্বন হয় শুধুই স্নেহের, কোনো চুম্বনে প্রকাশ পায় উষ্ণতা। অসুন দেখে নেই এক ঝলকে বিভিন্ন ধরনের চুমু সম্পর্কে …
গালে চুমু : যে কাউকে এই চুমু খাওয়া যেতে পারে। একজন আর একজনের গালে চুমু খায় ঠোঁট স্পর্শ করে। এই চুমু খাওয়া যেতে পারে বাবা, মা, বন্ধু, ভাই, বোন, সন্তান যে কাউকে।
হাতে চুমু : ইউরোপে বহু প্রাচীন কারও হাত সামনের দিকে টেনে হাতের তালুর পিছনে চুমু খাওয়ার রেওয়াজ। অপরের প্রতি সম্মান ও সৌজন্য প্রকাশ করা বোঝায় এর মাধ্যমে।
কপালে চুমু : ভালোবাসার গভীরতা এবং নির্ভরতা বোঝানো হয়ে থাকে কপালে চুমু খেয়ে । সাধারণত স্টার্টার কিস-ও এটাকে বলা হয়ে থাকে।
লিপ কিস : এই চুমুতে প্রেমিকার নিচের ঠোঁট নিজের প্রেমিক দুই ঠোঁটের মধ্যে টেনে নেন। প্রেমিকাও ওই একই কাজ করে থাকেন। এই চুম্বনের মধ্যে দিয়ে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পায়।
ফ্রেঞ্চ কিস : এই চুমুতে কোনও গুরুত্ব সেভাবে নেই ঠোঁটের। এখানে অপরজনের জিহ্বাকে স্পর্শ করে একজনের জিহ্বা। ভালোবাসা প্রকাশ পায় এই চুম্বনের মধ্যে দিয়েও।
এস্কিমো কিস : এই চুমু আমদানি করা হয়েছে এস্কিমোদের থেকে। এই চুমুতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নাক। একজনের নাক ঘষা হয় অপরজনের নাকের সঙ্গে। স্নেহ প্রকাশ পায় এই চুম্বনের মধ্যে দিয়ে।
লিঙ্গারিং কিস : জিভের কোনও কাজ নেই এই চুমুতে। শুধু আলতোভাবে ছোঁয়াতে হয় একজনের ঠোঁট অপরজনের ঠোঁটে।
অ্যাঞ্জেল কিসিং : যখন কাউকে নিজের থেকে দূরে বিদায় জানাতে হয়, তখন ভালবাসা বা স্নেহ প্রকাশ করতে তার প্রতি, তার চোখের পাতায় চুমু খাওয়া হয়। অ্যাঞ্জেল কিস একেই বলে। স্নেহ প্রকাশ পায় এই চুম্বনে।
লিজার্ড কিসিং : এই চুম্বনে মুখের ভিতর জিহ্বা প্রবেশ করান প্রেমিক বা প্রেমিকার মধ্যে যে কেউ অপরজনের।
লিভ আ মার্ক কিস : সাধারণত মেয়েরাই খেয়ে থাকেন এই চুমু। কারণ ভালো করে ঠোঁটে লিপস্টিক লাগাতে হয় এই চুমু খাওয়ার আগে। তারপর শরীরের যে অংশে চুমু খাওয়া হয় ঠোঁটের ছাপ পড়ে যায় সেখানে। একে লিভ আ মার্ক কিস বলা হয় একটা ছাপ পড়ে বলেই।
মুভিং কিস: যদি চুমু খেতে খেতে সঙ্গীকে ধরে পিছনের দিকে ধাক্কা দেন অথবা গোল গোল ঘুরতে থাকেন দু’জনে তাহলে তাকে মুভিং কিস বলে।