অনেক সুস্বাদু খাবারের কথা আমাদের মাথায় আসে যখনই আমরা মেথির নাম শুনি, মেথি রান্নাকে আরো সুস্বাদু করে তোলে বলা যায় মেথি স্বাদ বাড়িয়ে তোলে সে মেথির পরোটা হোক বা আলু মেথির সবজি! রান্নায় আমরা যে পাঁচ ফোড়ন ব্যবহার করি তার মধ্যে একটি হলো মেথি।
একপ্রকার ভেষজ গাছ হল মেথি (ট্রিগনেল্লা ফেনুম গ্রাইকুম ) যা দক্ষিণ ইউরোপ এবং এশিয়া-এ পাওয়া যায়। হলুদাভ খয়েরি রঙের হয় এটি দেখতে। অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি মশলা বা বীজ হলো মেথি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং সলিউবল ডায়টারি ফাইবার থাকে। কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর হয় নিয়মিত মেথি খেলে। শর্করার পরিমাণ ঠিক থাকে রক্তে। এই মেথি কোলেস্টরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং বিভিন্ন রকম উপাদান রয়েছে মেথির(fenugreek) বীজে যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখে শরীরের কার্বোহাইড্রেট আর সুগার শোষণ করে নেওয়ার। শরীরের ইনসুলিন(Insulin) নিঃসরণের মাত্রা অনেকগুণ বেড়ে যায় মেথি খাওয়ায় ফলে।
কলেস্টেরল কমায়
শুধুই যে রক্তের মধ্যে উপস্থিত কলেস্টেরল থেকে মুক্তি পেতে মেথি সাহায্য করে তা কিন্তু নয়। আস্তে আস্তে কলেস্টেরলে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে আপনার শরীরকেও। শরীরের লিপো বা ব্যাড প্রোটিন কমায় মেথি।
বাতের ব্যথা কমায়
প্রায় চল্লিশ বছরের উপরে মানুষেরই সমস্যা বাতের ব্যথা। একটি Indian Journal of Medical Research এর প্রতিবেদনে অনুযায়ী, এতই বেশি ইস্ট্রোজেনের উপরে প্রভাব মেথির যে বর্তমানে ডাক্তারেরা মেথির ব্যবহার ”Estrogen replac Galactomannan” সাথে তুলনা করছেন। বাতের তীব্র ব্যথা-বেদনাকে মেথি কমাতে সাহায্য করে।
হজম ক্ষমতা বাড়ে
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অন্যান্য উপাদান থাকে মেথির বীজে যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, বের করে দেয় বিষাক্ত উপাদান এবং শরীরের সুগার শোষণ করার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মেথির বীজ ভেজানো জল খেলে আস্তে আস্তে দূর হয়ে যায় হজমের সমস্যা।