গত একমাসের বেশী সময় ধরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ভারতে দৈনিক প্রায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন চার লাখেরও বেশি মানুষ। এই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ কবে নিন্ম মুখী হবে, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট কোনো ধারণা দিতে অক্ষম বিশেষজ্ঞরা।
দেশের এমন পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কিছু বিবেকহীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষের জন্য। সম্প্রতি দেখা গেছে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের মৃতদেহ। এই নিয়ে সারা দেশে মারাত্মক আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ দের মত, গঙ্গার জলে মৃতদেহ থেকে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা খুবই কম। তাতে করেও যেন আতঙ্ক থেকে রেহাই মিলছে না। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতে গঙ্গার চরের বালিতে লাস্ট ১ মাসে নিদেনপক্ষে তিনশো মৃতদেহ পুঁতেছে স্থানীয়রা। এমনকি সেখানে আর নতুন করে মৃতদেহ পোঁতার জায়গা নেই। বৃহস্পতিবার সকালে গঙ্গার চরে পুঁতে রাখা মৃতদেহগুলির একটি ভিডিও নেট দুনিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে।
বক্সার ও রাউতপুরের গঙ্গার চরেও পোঁতা রয়েছে বহু মৃতদেহ। শিয়াল, কুকুর মৃতদেহ খুবলে খেয়েছে । এমনকি টেনেও নিয়ে গিয়েছে কুকুর, শিয়ালের দল। জোয়ারের জলে বেশ কয়েকটি মৃতদেহের অংশাবশেষ বেরিয়ে এসেছে। আর তার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কিন্তু স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, গত এক মাসে রোজ প্রায় ১০-১২টি করে মৃতদেহ ওই বালির চরে পোঁতা হয়েছে। উন্নাওয়ের শ্মশানে রোজ দুই থেকে তিনটি মৃতদেহ দাহ করার মতো ব্যাবস্থা রয়েছে। ফলে স্থানীয়রা অনেকেই গঙ্গার চরে এনে পুঁতে দিয়েছিল। অনেকের মতে এলাকায় অনেকেরই এখন কাঠ কেনার মতো সামর্থ নেই। তাই স্বজনদের দেহ দাহ না করে মাটিতে পুঁতেছে তাঁরা।
তবু স্থানীয়রা করোনার অস্তিত্ব স্বীকার করতে নারাজ। তাঁরা এটিকে বলছেন, অন্য কোনও রহস্যজনক রোগ। স্থানীয় প্রশাসনের অবশ্য বলছেন, এটি কোন অজ্ঞাত রোগ নয়, প্রত্যেকের শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল।