করোনাকে হার মানিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে এগোচ্ছে দেশ। গত কয়েকদিনের কোভিড পরিসংখ্য়ান অন্তত সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। লাগাতার টিকাকরণে জোর দিয়ে যে লাগাম টানা গিয়েছে দৈনিক সংক্রমণে, তেমনই স্বস্তি দিয়ে কমছে করোনার অ্যাকটিভ কেসও। তবে এখনও বিদায় নেয়নি মারণ ভাইরাস। তাই উৎসবের মরশুমে প্রত্যেককে সতর্ক থাকার পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৭,২১৯ জন। গতকাল যে সংখ্যাটা প্রায় ৬ হাজারে নেমে গিয়েছিল। দৈনিক পজিটিভিটি রেট সামান্য বেড়ে হয়েছে ১.৯৮ শতাংশ। সংক্রমণ সামান্য বাড়লেও অবশ্য গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে অ্যাকটিভ কেস। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে ৫৬ হাজার ৭৪৫ জন। গোটা দেশে অ্য়াকটিভ কেসের হার কমে হয়েছে ০.১৩ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, ভারতে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৬৫।
দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে সংক্রমণে লাগাম টানা সম্ভব হলেও এখনও চিন্তায় রাখছে মহারাষ্ট্রের করোনা গ্রাফ। একদিনে সে রাজ্যে আক্রান্ত ১,২৫৮ জন। গতকালের তুলনায় ৬১ শতাংশ বেড়েছে সংক্রমণ। মারণ ভাইরাসের বলি ছ’জন। তবে আপাতত নিয়ন্ত্রণে দিল্লির দৈনিক সংক্রমণ। একদিনে সংক্রমিত ২৯৯ জন। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ২.১৭ শতাংশ। ধীরে ধীরে কমছে তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, কেরলের অ্যাকটিভ কেসও।
এরই মধ্যে আবার মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৮ লক্ষ ৬৫হাজার ১৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সুস্থতার হার ৯৮.৬৮ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, দেশে করোনার টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২১৩ কোটির বেশি। গত ২৪ ঘণ্টাতেই টিকা পেয়েছেন প্রায় ২৬ লক্ষ। জোরকদমে চলছে প্রাপ্তবয়স্কদের বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ দেওয়ার অভিযানও। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।