অবশেষে সাময়িক স্বস্তি। দেশের দৈনিক কোভিড (COVID-19)গ্রাফে পতন। একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমল খানিকটা। তবে অনেকটা নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেস। আর এখানেই খানিকটা আশা জাগাল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান। কমেছে মৃত্যুও।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের আজকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১৫,৫২৮ জন। মহামারীর ছোবলে প্রাণ গিয়েছে ২৫ জনের। মোট আক্রান্তের তুলনায় মাত্র ০.৩৩ শতাংশ রোগী অ্যাকটিভ।
মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রের দেওয়া কোভিড পরিসংখ্যান ভালভাবে লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে, সোমবাের তুলনায় অ্য়াকটিভ রোগীর সংখ্যা কমেছে ৬১০। এই মুহূর্তে মোট অ্য়াকটিভ কেস ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬৫৪। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হওয়ার রোগীর সংখ্যা বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬,১১৩ জন। শতকরা হিসেবে যা ৯৮.৪৭ শতাংশ। একদিনে ২৫ জনের মৃত্যুতে দেশে মোট কোভিডের বলি ৫,২৫,৭৮৫ জন।
মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করতে দেড় বছর ধরেই দেশে চলছে টিকাকরণ (Corona vaccination)। সদ্যই টিকার ডোজ ২০০ কোটি ছাড়িয়ে নয়া মাইলফলক ছুঁয়েছে। এই মুহূর্তে তা ২০০ কোটি ৩৩ লক্ষ ৫৫ হাজারেরও বেশি। এখন ১৮ ঊর্ধ্বদেরও প্রিকশন ডোজ দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে। এছাড়া বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজও চলছে। এভাবেই ধাপে ধাপে এগিয়ে টিকাকরণে সাফল্যের নয়া নজির গড়েছে ভারত। একমাত্র চিনই এখনও পর্যন্ত ভারতের চেয়েও টিকাকরণে এগিয়ে রয়েছে। করোনার ‘আঁতুরঘর’ বলে পরিচিত চিনে টিকার ডোজের সংখ্যা আরও বেশি। তবে বর্তমান পরিস্থিতে চতুর্থ ঢেউ রুখে দেওয়া গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।