এবার সত্যিই মনে হচ্ছে করোনার চতুর্থ ঢেউ আসছে, অন্তত পরিসংখ্যান দেখে এমনটাই মনে হচ্ছে। কারণ প্রতিদিন যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। এ বছরের প্রথম দিকে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারীর পর এই প্রথম করোনা সংক্রমণ ১০ হাজারের গন্ডি পেরোলো। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আবারও নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুম্বাই এবং দিল্লিতে যেন আরও বাড়াবাড়ি চলছে। সেভাবেই যেন বাড়ছে পসিটিভিটি রেট। পাশাপাশি চিন্তায় রাখছে এক্টিভ কেসও।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ২১৩ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। বিগত চারমাসের তুলনায় যা সর্বোচ্চ। শুধুমাত্র মুম্বাইতেই ২২০০ ছাড়িয়েছে। গোটা মহারাষ্ট্রেই ৪হাজারের বেশি আক্রান্ত। ৫০৬ টি জেলা দুশ্চিন্তায় রেখেছে মহারাষ্ট্র সরকারকে। শুধু মুম্বাই না এর সাথে পাল্লা দিয়েই এগোচ্ছে রাজধানী দিল্লিও, সেখানে শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১০০ মানুষ।
দেশে করোনার অ্যাকটিভ কেস বর্তমানে ৫৮ হাজার ২১৫ জন। যা ৪ হাজার ৫৭৮ জন বেশি গতকালের থেকে। দেশে ০.১৩ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে অ্যাকটিভ কেসের হার। দৈনিক পজিটিভিটি রেট বাড়তে বাড়তে ২.৩৫ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, ১১ জন একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। খানিকটা স্বস্তির এই সংখ্যাটাই। দেশে কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৮০৩ জন।
সুস্থতার হার এখনও স্বস্তিজনক রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭১২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে মাত্র ৭ হাজার ৬২৪ জন গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। এখন ৯৮.৬৫ শতাংশ সুস্থতার হার ।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, দেশে ১৯৫ কোটি ৬৭ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা (Corona Vaccine) এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন।