কোভ্যাক্সিন না কোভিশিল্ড! কোন ভ্যাকসিন নিলে আপনি তুলনামূকভাবে বেশী অ্যান্টিবডি পাচ্ছেন? সদ্য সমাপ্ত এক নিরীক্ষায় উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দেশ জুড়ে করোনা মোকাবিলায় দেওয়া হচ্ছে টিকা। ভারতে এখনও অবধি এই দেশে প্রস্তুত ২টি টিকার মধ্যে একটি দেওয়া হচ্ছে। ২টি টিকা হল যথাক্রমে কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড। কিন্তু ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে ভারতবাসীর মধ্যে। কেউ বলছে কোভ্যাক্সিন বেশী কার্যকরী তো কেউ বলছেন কোভিশিল্ড। এমন অবস্থায় নতুন এক গবেষণা জানালো একটি চমকপ্রদ তথ্য।
সদ্য প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে জানানো হয়েছে, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের থেকে নাকি কোভিশিল্ড বেশি মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে। এই গবেষনা পত্রের দাবি অনুযায়ী, একটি সার্ভেতে অংশ নিয়েছিলেন একাধিক চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী। এদের মধ্যে কিছু জন নিয়েছিলেন কোভিশিল্ড- এর টিকা এবং কেউ কেউ কোভ্যাক্সিন। তাঁদের শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির ভিত্তিতে এই গবেষণা পত্রে প্রকাশিত হওয়া তথ্যটি উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।
অবশ্য গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে , কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড উভয় তিকাই করোনাভাইরাস কে প্রতিহত করতে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী। কিন্তু তফাৎ রয়েছে অ্যান্টিবডিতে। এই গবেষণায় মোট ৫১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ৪২৫ জন কোভিশিল্ড (Covishield) ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন, বাকি সকলে কোভ্যাকসিন (Covaxin)। দেখা গিয়েছে, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিলে দেহে তৈরি হচ্ছে ৯৮.১ শতাংশ অ্যান্টিবডি। সেখানে কোভ্যাকসিন টিকা নিলে দেহে তৈরি হচ্ছে ৮০ শতাংশ অ্যান্টিবডি। এমনটাই তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি গবেষকদের।
গবেষকরা অবশ্য জানিয়েছেন, দুই ভ্যাক্সিন প্রয়োগই রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে। তবে অ্যান্টি-স্পাইক অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতায় পার্থক্য রয়েছে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী দের মধ্যে দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও ২৭ জন করোনা আক্রান্ত হন। তবে কেউ প্রাণ হারান নি। তবে এই ক্ষেত্রে আবার কোভ্যাক্সিন অধিক কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ৫.৫ শতাংশ টিকাগ্রহণকারী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে মাত্র ২.২ শতাংশ টিকাগ্রহণকারী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও অ্যান্টিবডির মাত্রা কোভিশিল্ড গ্রহণকারীদের মধ্যেই বেশি পাওয়া গিয়েছে রিপোর্টে।