করোনার চতুর্থ ঢেউ এসে গেছে বলা যায়। বেশ কিছুদিন নিশ্চিন্তে ছিল দেশবাসী, আবারও সংক্রমণ বাড়ছে। অ্যাকটিভ কেস এতোই বাড়ছে দিনের পর দিন যে চিন্তা বাড়ছে মানুষের। তবে সপ্তাহের প্রথম দিন দেশের কোভিড (COVID-19) গ্রাফে তেমন ওঠাপড়া নেই। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৬ হাজার ১৩৫ জন কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। রবিবারও ১৬ হাজারের বেশি ছিল সংক্রমিতের সংখ্যা। মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। যা রবিবার ছিল ৩১।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন দেশের ১৩,৯৫৮ জন। মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৪,২৮,৭৯,৪৭৭ জন, শতকরা হিসেবে যা ৯৮.৫৪ শতাংশ। করোনা প্রাণ কেড়েছে দেশের মোট ৫২৫২২৩ জনের। মোট আক্রান্তের ১.২১ শতাংশ। তবে অ্য়াকটিভ কেস বাড়ছে হু হু করে। এই মুহূর্তে দেশের অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা মোট ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৬৪। যা রবিবারও চিল ১ লক্ষ ১১ হাজারের বেশি।
মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের শক্তিশালী হাতিয়ার করোনা টিকা (Corona vaccine)। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে সেই কর্মসূচি চলছে জোরকদমে। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৯৭ কোটি ৯৮ লক্ষের বেশি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই ১ লক্ষ ৭৮ হাজারের বেশি ডোজ।
চতুর্থ ঢেউয়ে আবার করোনার নয়া বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তা নিয়ে সচেতন চিকিৎসক মহল। সতর্ক করা হচ্ছে আমজনতাকেও। জ্বর, সর্দিকাশি ছাড়াও পেটের সমস্যা হচ্ছে অনেক করোনা রোগীর। প্রথমে এসব উপসর্গকে শরীরে করোনা ভাইরাসের প্রবেশ হিসেবে চিহ্নিত না করা হলেও পরবর্তী সময়ে পরীক্ষায় ধরা পড়ছে যে ওই রোগী কোভিড পজিটিভ। ফলে সামান্য শারীরিক সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের বড় অংশ।