ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল জম্মু-কাশ্মীর(Jammu-Kashmir) সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে। কাশ্মীরের বান্দিপোরা (Bandipoa) জেলার চান্দাজি এলাকায় সেনার গুলিতে খতম হল এক জঙ্গি মঙ্গলবার সকালে। সেখানে আরও কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কিনা, জানতে গোটা এলাকায় সেনাবাহিনী চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে। পাশাপাশি ওই এলাকার নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।
১৫ আগস্ট একেবারে সামনেই। সেদিন স্বাধীনতা দিবস। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি নাশকতার ছক কষছে। সীমান্তে শত্রু ড্রোনের উপস্থিতিও বেড়ে গিয়েছে । তাই এ ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি নিরাপত্তাবাহিনীকে। এই পরিস্থিতিতে আরও জোরাল করে দিয়েছে নিরাপত্তা ভারতীয় সেনাও। তবে এদিন ভারতীয় সেনা নিকেশ হওয়া জঙ্গির খোঁজ গত সপ্তাহ থেকেই করছিল।
জম্মু-কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিংকে সংবাদসংস্থা এএনআই উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, গত ২৩-২৪ জুলাই সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয় তিন জঙ্গি কাশ্মীরের শোকবাবা জঙ্গলে। যার মধ্যে পাকিস্তানি জঙ্গিও একজন ছিল। কিন্তু গুলির লড়াইয়ের মাঝেই আরেক পাকিস্তান জঙ্গি বাবর আলি পালিয়ে যায়। এরপর তল্লাশি অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের এই জঙ্গির খোঁজে। মঙ্গলবারই বাবর আলি চান্দাজি গ্রামে লুকিয়ে রয়েছে খবর মেলে। ভারতীয় সেনা খবর পেয়েই ছুটে যায়। ঘিরে ফেলা হয় গোটা গ্রাম। ওই পাক জঙ্গি সেনার উপস্থিতি টের পেয়েই গুলি চালাতে শুরু করে। আর সেই সংঘর্ষেই শেষপর্যন্ত জওয়ানরা বাবরকে নিকেশ করেন । তবে ওই এলাকায় বাবর ছাড়াও আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কি না, জানতে গোটা জায়গায় যৌথবাহিনী চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে।
এদিকে, নিষিদ্ধ NLFT জঙ্গিদের আক্রমণে ত্রিপুরার ঢালাই জেলায় প্রাণ হারালেন দুই বিএসএফ জওয়ান। একজন সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসারও রয়েছেন শহিদদের মধ্যে। বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জঙ্গিরা দু’জনের অস্ত্র নিয়েও পালিয়ে গিয়েছে হামলার পর। আপাতত আরও বাড়ানো হয়েছে গোটা এলাকার নিরাপত্তা।