দেশজুড়ে ধীরে ধীরে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লিতে মিলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের হদিস। দেশজুড়ে বর্তমান ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩। এরকম এক পরিস্থিতিতে আগামী প্রায় একমাস লখনউয়ে ১৪৪ ধারা জারি করতে চলেছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন।
মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, আাগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে লখনউতে। বড়দিন ও নববর্ষের উত্সবের কথা মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদিত্যনাথ প্রশাসন।
লখনউয়ের পুলিস কমিশনারেটের তরফে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ‘পুলিসের অনুমতি ছাড় ৫ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। লখনউ পুলিসের আওতায় থাকা এলাকায় এমন কিছু করা যাবে না যা সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে পারে।’ এই সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত পুলিস মোতায়েত থাকবে।
ওমিক্রন নিয়ে জেলাগুলিকে নির্দেশিকা
• রাজ্যের বাইরে থেকে আসা লোকজনের আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক।
• সংক্রমিত ব্যক্তির নমুনা পাঠাতে হবে জেনোম সিকোয়েন্সের জন্য।
• রাজ্যের সীমান্তে পারাপারে নজরদারি।
• হাসপাতালগুলিতে বাড়ানো হচ্ছে বেড সংখ্যা।
আগের থেকেও ভয়ঙ্কর বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই প্রজাতি (Corona Omicron Variant) আগের থেকে ভয়ঙ্কর। টিকা নিয়েছেন এমন মানুষের শরীরের এই প্রজাতি থাবা মারছে। শীতের সময় মানুষ উৎসবের মেজাজে। বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান, বিয়েবাড়ি, পার্টি লেগেই রয়েছে।
আর স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে ভিড় হচ্ছে। ফলে আশঙ্কাও বাড়ছে। এই কাজকারবার সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন থেকে বাঁচতে লকডাউনই একমাত্র পথ হতে পারে না। এর থেকে বেশি যেটা দরকার সেটা হল মানুষের জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ। মানুষ যাতে সতর্ক থাকেন, সেটা দেখতে হবে। লকডাউনের থেকেও বেশি গরকার সেল্ফ রেস্ট্রিকশন। আর সেটাই ভাইরাস থেকে বাঁচাবে।